নয়া প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ
দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ শপথ গ্রহণ করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে তাকে শপথ পাঠ করান। রোববার বেলা ১২টার দিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ শপথ গ্রহণ করেন। শপথ গ্রহণ শেষে আসেন সুপ্রিম কোর্টে। এর মধ্যদিয়ে শুরু হয় তার দায়িত্ব গ্রহণ। এদিকে, নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি বৈরী আবহাওয়া এবং সম্ভাব্য যানজটজনিত জনদুর্ভোগ কমানোর জন্য গতকাল না গিয়ে আজ সোমবার সকাল ৭টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে এবং সকাল ৮টায় জাতীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিরা পদত্যাগ করার পর শনিবার রাতে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে নতুন প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। বঙ্গভবনের দরবার হলে জাতীয় সংগীত বাজানোর মধ্যদিয়ে এই শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের পর শুরু হয় শপথগ্রহণ। এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।ন
শপথ শেষে নিয়ম অনুযায়ী শপথ বইতে সই করেন বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে দেশের প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টে নিজ দপ্তরে আসেন। সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের সময় সাংবাদিকরা নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন জানান। জবাবে প্রধান বিচারপতি সাংবাদিকদেরকেও অভিনন্দন জানান। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ছেলে। তার মা জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ।
বিচারপতি রেফাত আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ওয়াদাম কলেজে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ফ্লেচার স্কুল অব ল’ অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি অব টাফ্টস ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স এবং পিএইচডি সম্পন্ন করেন। সৈয়দ রিফাত আহমেদ ১৯৮৪ সালে ঢাকা জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন। ১৯৮৬ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন। তিনি হংকং এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে কাজ করেছেন। এরপর ২৭শে এপ্রিল ২০০৩ সালে বাংলাদেশ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন। ২৭শে এপ্রিল ২০০৫ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।