‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যবিরোধীদের কঠোর জবাব দেয়া হবে’
‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যবিরোধীদের কঠোর জবাব দেয়া হবে’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যবিরোধীদের কঠোর জবাব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। কুষ্টিয়ার জাতির পিতার ভাস্কর্যের ভাংচুরকারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা যে অপরাধ করেছে তার সমুচিত কঠোর জবাব দেয়া হবে।
আজ রবিবার বিকেলে দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ শহীদ মিনারে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বোচাগঞ্জ মুক্ত দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা এদেশকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে। আমরা আর পিছিয়ে যেতে চাই না। তিনি বলেন, পাক হানাদার বাহিনীর পদলেহনকারী ও পাকিস্তানী ভাবধারায় যারা বাংলাদেশে রাজনীতি করছে, যারা পাকিস্তানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য এখনো স্বপ্ন দেখে, আমরা দেখতে পাচ্ছি আজকে ভাস্কর্যের নামে তারা বঙ্গবন্ধুর ওপর আক্রমণ করতে চায়। ভাবতে অবাক লাগে, যেই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে যেই বাংলাদেশের পতাকা সমগ্র পৃথিবীতে পতপত করে উড়ছে। সেই জায়গায় তারা বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করতে চায়!
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, তারা জানেনা, বাংলাদেশের জন্মদাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন আমার জাতীয় পতাকা পত পত করে উড়বে, যতদিন আমরা গাইব- আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি; ততদিন বঙ্গবন্ধু অমর হয়ে থাকবে। তিনি অমরত্ব লাভ করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে কেউ হত্যা করতে পারবে না।
খালিদ মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে কেউ হত্যা করতে পারেনাই। জিয়াউর রহমান পারে নাই, এরশাদ পারে নাই, খালেদা জিয়াও পারে নাই, ওই পাকিস্তানিরাও পারে নাই। বঙ্গবন্ধু কোন ব্যক্তি নন, বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শ, একটি প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু এই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, জাতির পিতা।
ভাস্কর্যবিরোধীদের হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, আজকে কোথায় খালেদা জিয়া, কোথায় সেই পাক হানাদার বাহিনী, কোথায় নিজামী, গোলাম আজম, সাকা চৌধুরী, কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লা। অপরাধের কঠোর জবাব দেয়া হবে।
বাংলাদেশের এতসব উন্নয়নের পেছনে রয়েছে জাতির পিতার আদর্শ ও তার রেখে যাওয়া দিক নির্দেশনা- এমন মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, আকে এক কি.মি. রাস্তা উন্নয়নের জন্য দাতাদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো। সেই বাংলাদেশ আজকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আজকে আমাদের মর্যাদার স্মারক রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পদ্মাসেতু আজকে আমাদের স্বপ্নের ঠিকানায় চলে গেছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের চুক্তি হয়ে গেছে। বন্দরের কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। পায়রা বন্দর, মোংলা বন্দরের উন্নয়ন এগেয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশ দিয়ে রেলসেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয়েছে। এভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন এগিয়ে যাচ্ছে। এগুলো সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও তার রেখে যাওয়া দিক নির্দেশনার কারণে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছন্দা পালের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, বোচাগঞ্জ উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. জাফর উল্লাহ, সেতাবগঞ্জ পৌর মেয়র এম এ সবুর, বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফছার আলী প্রমুখ।