৭ খুন: পলাতক আসামিদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলায় প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ পলাতক ১৩ আসামির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ নির্দেশ দেন। এসময় ৭ অক্টেবরের মধ্যে সম্পত্তি ক্রোকের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, রোববার মামলার চার্জশিটভুক্ত ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচএম শফিকুল ইসলাম ৭ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এসময় ৭ অক্টোবরের আগে পলাতক ১৩ আসামির সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের কাজ শেষ করার জন্য ডিবিকে নির্দেশ দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, তারেক সাঈদ ও এমএম রানার জন্য ঢাকা থেকে যারা এসেছে তারা আসামিদের ওকালতনামা না নিয়েই আদালতে দাঁড়িয়েছিলেন। পরবর্তী তারিখে তাদের প্রক্রিয়াগতভাবে আইনি লড়াই চলবে বলে জানান তিনি।
সাত খুনের ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৫ জনকে অপহরণ শেষে হত্যার ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ মামলায় নূর হোসেনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে অ্যাডভোকেট চন্দন সরকার ও গাড়িচালক ইব্রাহিমকে অপহরণ ও হত্যা মামলার বাদী ছিলেন চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। এ মামলায় আসামিরা অজ্ঞাত। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। ৩০ এপ্রিল বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।