৭ই মার্চ ‘ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস’ কেন নয়: হাইকোর্ট
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের (রেসকোর্স ময়দান) জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অঙ্গুলী উঁচিয়ে যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন সেই অভিব্যক্তির আদলে তার ভাস্কর্য নির্মাণ কেন করা হবে না এবং একইসঙ্গে ওই দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস’ হিসাবে কেন ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল সোমবার এই আদেশ দেন।
এছাড়া যে স্থানে নির্মিত মঞ্চে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিয়েছিলেন, পাক হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ এবং ভারতের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল সে স্থানে মঞ্চ কেন পুনর্নির্মাণ করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, অর্থ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব, গণপূর্ত সচিব, সংস্কৃতি সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া রুলের প্রেক্ষিতে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে-সে বিষয়ে আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে মন্ত্রি পরিষদ সচিব ও অর্থ সচিবকে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম—১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে সমবেত লক্ষ লক্ষ জনতার উদ্দেশে এই ভাষণ দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি ইউনেস্কোর একটি উপদেষ্টা কমিটি ঐতিহাসিক এই ভাষণটিকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এরপর উপরোক্ত দাবি সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বশির আহমেদ।