৬০ ঘণ্টার হরতাল চলছে

27/10/2013 5:33 amViews: 12

Hartal-Khulna-bigপ্রতিবেদক : নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ ঘণ্টার হরতাল বিচ্ছিন্ন ঘটনা ও ককটেল বিস্ফোরণের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে।

হরতালের প্রথম দিন রবিবার সকালে রাজধানীর মিরপুর, আজিমপুর, নদ্দায় ও যাত্রাবাড়িতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ও বিআরটিসির বাসে আগুন দিয়েছে হরতাল সমর্থনকারীরা। এসময় তারা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুর করে। এছাড়া রাজধানীতে তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

তবে রাজধানীর বাইরে নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া, টঙ্গী, খুলনা ও গাইবান্ধায় বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এসব জায়গায় কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে হরতাল সমর্থককারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্য কোথায় তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে হরতাল চলাকালে যেকোন ধরনের নাশকতা এড়াতে রাজধানীসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্কাবস্থায় রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও স্থাপনার পুলিশ র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।

রবিবার সকালে হরতালের শুরুতে রাজধানীতে গণপরিবহনের সংখ্যা কম থাকলেও বেলা বেড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে দেখা গেছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি প্রাইভেট কার চলাচল কম থাকলেও রিকসা, সিএনজি অটোরিকসা ও লেগুয়া চলাচল করছে চোখে পড়ার মতো। তবে যাত্রী সাধারণের চলাচল অন্যান্য দিনের তুলনায় ছিল কম। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও দূর পাল্লার কোন যানবাহন টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি।

রবিবার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে চলবে টানা এ হরতাল। সংলাপের প্রক্রিয়া শুরুর আলটিমেটাম দিয়ে শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গণসমাবেশ থেকে জোটনেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ হরতালের ডাক দেন। আলটিমেটামের সময়ের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপের আহ্বান জানিয়ে গণভবনে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে নৈশভোজের আমন্ত্রণ এবং হরতাল প্রত্যাহার করার আহবান জানান। এর পরও হরতাল বহাল রাখা হয়।

সকালে মিরপুরে দু’টি বিআরটিসি বাসে আগুন দিয়েছে হরতাল সমর্থককারীরা। এছাড়া সেখানে তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। হরতালে পিকেটারদের উপস্থিতি না থাকায় গণপরিবহন চলাচল করছে স্বাভাবিকভাবে।

আজিমপুরে দু’টি সিএনজি অটোরিকসায় আগুন দিয়েছে হরতাল সমর্থককারীরা। এসময় তারা চারটি গাড়ি ভাঙচুর ও তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

নদ্দায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে হরতাল সমর্থককারীরা। যাত্রাবাড়িতে ৪৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে হরতাল সমর্থনকারীরা। এছাড়া শনির আখড়ায় দু’টি বাস ভাঙচুর ও একটি বাসে আগুন দিয়েছে হরতালসমর্থনকারীরা।

এছাড়া রাজধানীর মতিঝিল, পুরানো পল্টন, শাহবাগ, মালিবাগ, মগবাজার, কাকরাইল, কাওরান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকায় এখনো পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply