৫২ বছর বয়সে দলে ফেরার ‘আকুতি’ সেলিম মালিকের!
৫২ বছর বয়সে দলে ফেরার ‘আকুতি’ জানিয়েছেন ৯০ দশকের পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান সেলিম মালিক। সম্প্রতি পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমিরের দলে প্রত্যাবর্তনের খবর শোনার পর এ কথা জানান তিনি।
এক সাক্ষাতকারে সেলিম মালিক বলেন, ‘আমি রাগান্বিত বা তিক্ত নই। এটা আমাকে কষ্ট দিয়েছে। আমি পাকিস্তানের হয়ে প্রচুর ম্যাচ খেলেছি। আমার হাত ধরে দল অনেক ম্যাচ জিতেছে। সুতরাং কেন আমাকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়া হবে না।’
ক্ষোভের সুরে তিনি আরো বলেন, ‘আমি তখন ক্যারিয়ারের শেষ দিকে ছিলাম। তাই সে সময় আমাকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। তারা আসলে এক বা দুইজনকে বলির পাঁঠা বানাতে চেয়েছিল।’ পাকিস্তানের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ১০৩টি টেস্ট ও ২৮৩টি ওয়ানডে। দুই ফরম্যাট মিলিয়ে ২০টি সেঞ্চুরি সহ রয়েছে ১২ হাজারেরও বেশি রান। কিন্তু ২০০০ সালে তার ক্যারিয়ারে ঘটে এক কলঙ্কিত ঘটনা। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে আজীবন ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা পান ৯০ দশকের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান।
আমির ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্পট ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত হন। তবে অনেক প্রতিকূল সময় পেরিয়ে তিনি আবারো জাতীয় দলের দোরগোড়ায়। আর আমিরের সম্ভাবনা দেখে হয়তো অভিমানের সুরেই জাতীয় দলে ফেরার আঁকুতি জানাচ্ছেন মালিক।
১৯৯৫ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সফরে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগটি সর্বপ্রথম উইকেটরক্ষ-ব্যাটসম্যান রশিদ লতিফের ওপর গিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সেলিম মালিক ও আতাউর রহমানকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়।
আর ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, সাইদ আনোয়ার, মুশতাক আহমেদ, ইনজামাম উল হক ও আকরাম রাজাকে জরিমানা করা হয়। ক্রিকেট থেকে আজীবন নিষিদ্ধের বিপরীতে মুক্ত হতে মালিক অনেক চেষ্টা করলেও তা আর হয়নি।
তবে দুঃখের সঙ্গে তিনি জানান, তার প্রতি সুষ্ঠ বিচার করা হয়নি। মালিক আরও বলেন, ‘বিচার সবার জন্য সমান হওয়ার কথা ছিলো। তবে আমাকেই বড় ধরনের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এটি ছিলো আমার প্রতি এক প্রকার জুলুম।’ প্রিয়।