ঢাকা: দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ১১৫টি উপজেলার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪১টির বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ১৯টিতে। আর ১২টিতে বিজয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। এছাড়া বিএনপির অন্যতম শরিক দল জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ৫টিতে।
কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, কারচুপি, ভোট বর্জন এবং সংঘর্ষসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনার মধ্য দিয়ে ১১৫ উপজেলায় ৮ হাজার ১৩৬টি কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে।
বিএনপি :১৯
চাপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর, পিরোজপুরের কাউখালী, নেত্রকোনার বারহাট্টা, লালমনিরহাট সদর, বগুড়ার আদমদিঘী, জয়পুরহাটের ক্ষেতলালা, ফরিদপুরের শালথা ও নাগরকান্দা, কুমিল্লার দেবিদ্বার, মেহেরপুরের মুজিবনগর ও গাংনি, যশোরের ঝিকরগাছা, বাঘারপাড়া ও শার্শা , নেত্রকোনার খালিয়াজুরী, মাগুরার শালিখা, কক্সবাজারের পেকুয়া ও চকরিয়া এবং দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
আওয়ামী লীগ:১২
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, চাঁদপুরের মতলব (উত্তর), ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গি, কুষ্টিয়ার মিরপুর, ফরিদপুরের বোয়ালমারি, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর, নেত্রকোনার পূর্বধলা, ফেনীর পশুরাম, নোয়াখালীর কবিরহাট, ভোলার চরফ্যাশন ও বোরহানউদ্দীন এবং লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
জামায়াত: ৫
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, রাজশাহীর বাঘা, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, বগুড়ার শিবগঞ্জ, ঝিনাইদহের মহেশপুরে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
অন্যান্য: ৫
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় জেএসএস প্রার্থী এবং খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ইউপিডিএফ প্রার্থী এবং রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় জেএসএস (সন্তু লারমা গ্রুপ) প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
বিদ্রোহী (বিএনপি):
নাটোরের গুরুদাসপুরে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
এদিকে নোয়াখালী সদর উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়। এছাড়া আরো ২৮টি কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে ইসি।
উল্লেখ্য, প্রথম ধাপে দেশের ৪০টি জেলার ৯৭টি উপজেলায় নির্বাচন হয়। এর মধ্যে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪৪টি, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৩৪টি এবং জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী ১৩টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছে।