৩ ফিলিস্তিনির হাসপাতালে ‘মৃত্যুদণ্ড’ নিয়ে মুখ খুলল জাতিসঙ্ঘ
ইসরাইলি বাহিনীর দ্বারা ‘অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বেআইনি হত্যা’ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার অফিস। মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ অক্টোবর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বেআইনি হত্যাকাণ্ডের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার নথিভুক্ত করে, জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারের হাইকমিশনার অফিস বলেছে যে- ইসরাইলকে অবশ্যই তার বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত ‘সব বেআইনি বল প্রয়োগের জন্য জবাবদিহি করতে হবে’।
মঙ্গলবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনের ইবনে সিনা হাসপাতালের ভেতরে তিন ফিলিস্তিনির ‘পরিকল্পিত বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করে দৃঢ়-শব্দে এ বিবৃতি জারি করেছে জাতিসঙ্ঘ।
জাতিসঙ্ঘের মতে, ইসরাইলিরা গোপনে একজন ১৮ বছর বয়সীকে তার হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রেখে হত্যা করেছিল। ওই ব্যক্তি ‘অর্ধ পক্ষাঘাতগ্রস্ত’ ছিল এবং অক্টোবরে ইসরাইলি বিমান হামলার পর চিকিৎসা নিচ্ছিল। ইসরাইলিরা ওই রোগীর ২৩ বছর বয়সী এক ভাই ও একজন ২৭ বছর বয়সী ব্যক্তিকেও হত্যা করেছিল।
এদিকে চীন বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সব ধরনের হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের প্রতিটি পদক্ষেপের বিরোধিতা করে।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের এই রুলিং আইনগতভাবে মেনে চলতে ইসরাইল বাধ্য কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে- রুলিং বাস্তবায়নের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের কথা বলা হয়নি।
সূত্র : আল-জাজিরা