২৯ সদস্যের নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা
প্রতিনিধি : নির্বাচনকালীন ‘সর্বদলীয়’ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের দফতর বণ্টন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীসহ ২৯ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর নাম ও দফতর বণ্টনের গেজেট প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভার ২১ জন এবং গত সোমবার শপথ নেয়া আট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। আর বাদ পড়েছেন আগের মন্ত্রিসভার ৩০ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী।
বাদ পড়া মন্ত্রীদের মধ্য থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা করা হয়েছে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়াকে। তিনদিন আগে জাতীয় পার্টির নেতা জিয়াউদ্দীন বাবলুকে উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এদের সবাইকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টার সংখ্যা দাঁড়াল ১১।
নতুন দফতর বণ্টন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা ও সশস্ত্র বিভাগ নিজের হাতে রেখেছেন। আর মন্ত্রীদের মধ্যে আবুল মাল আবদুল মুহিতকে অর্থ মন্ত্রণালয়, আমির হোসেন আমুকে ভূমি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, তোফায়েল আহমেদকে শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, মতিয়া চৌধুরীকে কৃষি, মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে বস্ত্র ও পাট, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) একে খন্দকারকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশররফ হোসেনকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ওবায়দুল কাদেরকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, রমেশ চন্দ্র সেনকে খাদ্য মন্ত্রণালয়, নুরুল ইসলাম নাহিদকে শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, ড. হাছান মাহমুদকে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মো. মুজিবুল হককে রেলপথ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জিএম কাদেরকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রুহুল আমিন হাওলাদারকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং হাসানুল হক ইনুকে তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে দীপঙ্কর তালুকদারকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কামরুল ইসলামকে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুন্নুজান সুফিয়ানকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রমোদ মানকিনকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও বেগম সালমা ইসলামকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
গত তিনদিন ধরে নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের দফতর বণ্টন এবং পুরনো মন্ত্রীদের পদত্যাগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির অপেক্ষায় ছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সরকারের শীর্ষ মহল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে সর্বদলীয় মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছিল। এ কারণেই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করতে দেরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।