২৫ পেরোনো সংবাদপত্রকে সম্মাননা দিলো নোয়াব

30/03/2022 11:21 pmViews: 4

২৫ পেরোনো সংবাদপত্রকে সম্মাননা দিলো নোয়াব

প্রকাশনার ২৫ বছর পেরিয়ে আসা সংবাদপত্রগুলোকে সম্মাননা প্রদান করলো নিউজ পেপার ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- নোয়াব। বুধবার ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ হলে আয়োজিত আনন্দমুখর অনুষ্ঠানে দেশের অগ্রযাত্রায় অবদান রাখা সংবাদপত্রগুলোকে ‘২৫ পেরোনো নোয়াব সদস্য সংবাদপত্র সম্মাননা ২০২২’ শীর্ষক সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়। সম্মাননা পাওয়া পত্রিকাগুলো হচ্ছে সংবাদ, ইত্তেফাক, আজাদী, পূর্বাঞ্চল, করতোয়া, পূর্বকোণ, ইনকিলাব, ভোরের কাগজ, জনকণ্ঠ, ডেইলি স্টার ও ফাইনেন্সিয়াল এক্সপ্রেস।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

সূচনা বক্তব্য রাখেন নিউজ পেপার ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ। সভাপতিত্ব করেন নোয়াবের সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ খান বাদল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নোয়াব এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হানিফ মাহমুদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, বাসদের খালিকুজ্জামান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর বীরবিক্রম, বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান এমপি, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুরে এলাহী, চীনের উপ রাষ্ট্রদূত হা লং, পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার কামার আব্বাস খোখার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদল, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, শওকত মাহমুদ, মোল্লা জালাল, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, নিউ এইজ সম্পাদক নুরুল কবীর, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, আজিজুল ইসলাম ভুইয়া, কবি আসাদ চৌধুরী প্রমুখ।
সম্মাননা পাওয়া পত্রিকাগুলোর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংবাদ সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি আলতামাশ কবির, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, দৈনিক আজাদী সম্পাদক ও প্রকাশক এম এ মালেক, দৈনিক করতোয়ার সম্পাদক ও প্রকাশক মোজাম্মেল হক, দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ও প্রকাশক ড. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, দৈনিক ইনকিলাব এর সম্পাদক এ এম বাহাউদ্দীন, ভোরের কাগজ এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক তারিক সুজাত ও ফিনানশিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অবাধ তথ্যপ্রবাহ গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। সংবাদপত্র বাংলাদেশের উন্নয়নে, সমাজ বিকাশে ও বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে চলেছে। মানুষকে আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তুলতে সংবাদপত্রের ভূমিকা অতুলনীয়।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে মতামত তৈরিতে ভূমিকা রাখে, প্রভাবিত করে। সে কারণে সংবাদপত্রের দায়িত্ব অনেক। ভুল তথ্য, মিথ্যা সংবাদ সমাজে নেতিবাচক প্রভাব রাখে। আর ইতিবাচক সংবাদ সুন্দর সমাজ ও দেশ গড়ে তুলতে পারে। তাই সংবাদপত্রকে সততার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পেশাগত দায়িত্ব চালিয়ে যেতে হবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সংবাদপত্র দেশ গঠনে মানুষের মনন তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে, স্বাধীনতা পরবর্তী দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। প্রিন্ট মিডিয়া নানা চ্যালেঞ্জের পরেও তার গুরুত্ব একেবারেই কমেনি। সরকার গণমাধ্যমের বিকাশে সবসময়ই সচেষ্ট। গণমাধ্যমের বিকাশ না ঘটলে দেশের বিকাশ ঘটা সম্ভব নয়। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট কোনোভাবেই গণমাধ্যমের জন্য নয়। এটা সাধারণ মানুষের জন্য। সিঙ্গাপুর, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এমন আইন করেছে। তবে, এ আইনের মাধ্যমে সাংবাদিক এবং সাধারণ মানুষ যাতে ভোগান্তির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন সংবাদকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি। এ আইনের মাধ্যমে সংবাদপত্রের পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইনের সংবাদকর্মীদের ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
সূচনা বক্তব্যে নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পরপরই দৈনিক সংবাদ ও দৈনিক ইত্তেফাক প্রকাশিত হয়। সেসময় থেকে বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বাঁকগুলোতে তারা সাহস ও সততার সঙ্গে ভূমিকা পালন করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় সংবাদ, ইত্তেফাক, আজাদী বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গণমাধ্যম হিসেবে এদেশের জনগণের সঙ্গে ছিল। তাই আজকের অনুষ্ঠানে এমন সংবাদপত্রগুলোকে সম্মাননা জানাতে পেরে নোয়াব আনন্দিত।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশের সংবাদপত্রগুলো সংকটে পড়েছে। সংবাদপত্রের বাজার সংকুচিত হয়ে আসছে। কাগজের পাঠক ও বিজ্ঞাপন দুই-ই কমছে। এর পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে কিছু আইনের অপব্যবহারের গণমাধ্যম কর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এ আইনগুলোর সংস্কার প্রয়োজন।

Leave a Reply