২২টি চুক্তির একটিও আমাদের স্বার্থে হয়নি : হাফিজ
২২টি চুক্তির একটিও আমাদের স্বার্থে হয়নি : হাফিজ
ঢাকা : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের যে ২২টি চুক্তি হয়েছে তার একটিও আমাদের স্বার্থে হয়নি। কিন্তু মোদির বক্তব্যে আমরা আশান্বিত হয়েছি। তিনি বলেছেন আমাদেরকে একসঙ্গে নিয়ে চলবেন । আমরা অপেক্ষা করব। বন্ধুত্বপূর্ণ সমঝোতার মাধ্যমে আমরা পানির অভিন্ন বণ্টন চাই।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বুধবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শহীদ জিয়ার আদর্শে গঠিত হবে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের শত্রু নয় বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের যে সহায়তা করেছে তাতে আমরা আজীবন চিরকৃতজ্ঞ থাকব। তবে আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনা চাই। কারণ আমরা ভাল না থাকলে এবং দেশে গণতন্ত্র না থাকলে আপনারাও ভাল থাকবেন না।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, সংস্কৃতি বিনিময়, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও এগুলো হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মোদি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তিনি একজন সত্যিকারের নেতা। বেগম জিয়াও তার প্রশংসা করেছেন। অন্য যে কোনো ভারত সরকারের চেয়ে তাকে বেশি আন্তরিক মনে হয়েছে। তিনি আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন, আমরা অপেক্ষা করব।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ‘আমরা এক হয়ে গেছি এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘আমরা কেন অন্যের কাছে জিম্মি হয়ে থাকব? বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হলে আমরাই করব। রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমাদের জন্য কোনো মঙ্গল বয়ে আনবে না আমরা এটা চাই না।
সরকারের সমালোচনা করে হাফিজউদ্দিন বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশেকে উন্নয়নের রোল মডেল বলা হলেও আজকে কেন হাজার হাজার মানুষ সাগরে ভাসছে? বাংলাদেশ এখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।’
বিএনপির অতীত সরকার বিরোধী আন্দোলন ‘ফলপ্রসু’ না হওয়ার জন্য নেতাদের সম্পদকে দায়ী করে তিনি বলেন, প্রত্যেকের নেতার নামে যদি ঢাকা শহরে ৩০ থেকে ৪০টি বাড়ি থাকে তাহলে আন্দোলন কীভাবে সফল হবে? আন্দোলনে জন্য লড়াকু সৈনিক বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
গণস্বাস্থ্যে প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে শাস্তি দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে এর সমালোচনা করেন বিএনপির এই নেতা।
বিএনপির নয়, আওয়ামী লীগের আইডেন্টির সমস্যা আছে মন্তব্য করে যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, মোদি নেপালে গিয়ে পার্লামেন্টে বক্তব্য দিলেও বাংলাদেশের পার্লামেন্টে কেন বক্তব্য দেননি? মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে কেন বৈঠক করেননি? কারণ এ পার্লামেন্ট মেম্বারদের আইডেন্টির সমস্যা আছে। আওয়ামী লীগের আইডেন্টির সমস্যা আছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মুহাম্মদ আবু জাফর, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, প্রাক্তন সংসদ সদস্য রাশেদা বেগম হীরা, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ।