২০১২ সালে ভারতে আত্মহত্যা করেছে প্রায় দেড় লাখ
নয়াদিল্লি: ২০১২ সালে ভারতে আত্মহত্যা করেছে এক লাখ ৩৫ হাজার ৪৪৫ মানুষ । অর্থাৎ দৈনিক গড়ে ৩৭১টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে আত্মহত্যা করেছে ২৪২ জন পুরুষ ও ১২৯ নারী।
সম্প্রতি ভারতের জাতীয় ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর পরিসংখ্যানে এমন তথ্যই জানা গেছে।
২০১২ সালে ভারতে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় গড়ে ১২ জন। জাতীয় ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর পরিসংখ্যানের হিসেব অনুযায়ী, মোটামুটিভাবে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ১৫ জন এবং দৈনিক গড়ে ৩৭১ জন আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে ২৪২ জন পুরুষ এবং ১২৯ জন নারী।
এই হিসেবে ২০১২ সালে গোটা দেশে আত্মহত্যাকেই মুক্তি বলে মনে করেছেন এক লাখ ৩৫ হাজার ৪৪৫ মানুষ।
তবে, এ পরিসংখ্যানে পশ্চিমবঙ্গকে ধরা হয়নি। কারণ পশ্চিমবঙ্গ থেক দেয়া আত্মহত্যার পরিসংখ্যানে প্রকৃতিগত বিন্যাসে অস্পষ্টতা থাকায় পশ্চিমবঙ্গকে এ পরিসংখ্যানে ধরা হয়নি।
আর আত্মহত্যার ক্ষেত্রে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্য এগিয়ে রয়েছে। এক বছরে সেখানে আত্মহত্যা করেছে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র, আত্মহত্যার সংখ্যা সেখানে ১৬ হাজারেরও বেশি। পশ্চিমবঙ্গের স্থান তৃতীয় এবং অন্ধ্রপ্রদেশ চতুর্থ।
ভারতের ২৮টি রাজ্যে মোট আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৬৭ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ২৭৭৮টি। কেন্দ্রশাসিত লাক্ষাদ্বীপ হলো একমাত্র অঞ্চল যেখানে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে মাত্র একটি। কেন্দ্রশাসিত দিল্লিতে এই সংখ্যা প্রায় এক হাজার ৯০০।
আত্মহত্যার পথ হিসেবে সবথেকে বেশি পছন্দ ‘গলায় দড়ি’। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশটিতে ৩৩ শতাংশ আত্মহত্যা ঘটেছে গলায় দড়ি দিয়ে। অন্যদিকে,বিষ খাওয়া ২৯ শতাংশ, গায়ে আগুন লাগানো ৮.৫ শতাংশ।
জানা গেছে, ২০১২ সালে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ গলায় দড়ি দেয়, যার মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার পুরুষ। আর বিষ খেয়ে মারা যায় ১৯ হাজার ৪৪৫ জন, যার মধ্যে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মহিলা। সূত্র: ডিডব্লিউ