১৯ সালের নির্বাচনে খালেদার অংশ নেয়ার সুযোগ থাকবে না : সংসদে তথ্যমন্ত্রী
১৯ সালের নির্বাচনে খালেদার অংশ নেয়ার সুযোগ থাকবে না : সংসদে তথ্যমন্ত্রী
২৭ জুন ২০১৫,শনিবার, ১৪:১১
তথ্যমন্ত্রী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎটা হচ্ছে তাকে রাজনীতির বাইরেই থাকতে হবে এবং আদালতে বারান্দায় দাঁড়াতে হবে। ২০১৯ সালে একটি নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন গণতাান্ত্রিক শক্তির সাথে গণতান্ত্রিক শক্তির নির্বাচন হবে। কিন্তু ঐ নির্বাচনে গণতন্ত্রের অচল মাল সচল হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আগুন সন্ত্রাসী খালেদা জিয়ার সে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কোন সুযোগ থাকবেনা। খালেদা জিয়া নিজেই নিজেকে গণতন্ত্র উন্নয়ন সমৃদ্ধির রাজনীতি থেকে খরচোর খাতায় নিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। দেশে গণতন্ত্রের কোন ঘাটতি নেই বলে দাবি করেন তিনি।
শনিবার সংসদে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য মন্ত্রী একথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপন করে বাজেট বক্তব্য শুরু হয়। তথ্যমন্ত্রীর ২৫ মিনিটের বক্তব্যের বেশীর ভাগ সময়ই ছিল খালেদা জিয়ার সমালোচনা করেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, খালেদা জিয়া যে রাজনীতি করছেন এই রাজনীতির দিন শেষ। বাংলাদেশে আর কোনদিন পাকিস্তান মার্কা, মুসলিম লীগ মার্কা নেজামে ইসলাম মার্কা, সামরিক শাসন মার্কা, জামায়াতে ইসলাম মার্কা রাজনীতি চলবে না। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সম্মুখ যাত্রার যে মহাসড়কে টেনে তুলেছেন সেই মহাসড়কে বেগম খালেদা জিয়ার কোন জায়গা নেই। সুতরাং কোনদিন আর বাংলাদেশে রাজাকার সমর্থিত, সামরিক সমর্থিক কোন সরকার আসবেনা। শেখ হাসিনার বিকল্প খালেদা জিয়া কখনই নন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আপনি নিজেই নিজেকে গণতন্ত্র উন্নয়ন সমৃদ্ধির রাজনীতি থেকে খরচোর খাতায় নিয়ে গেছেন। এটা এখন আপনি না বুঝলেও আপনার দলের নেতাকর্মীরা বুঝতে পেরেছে , জনগন বুঝতে পেরেছে। এটাও বুঝে গেছে আপনি যতই লম্পঝম্প করুন না কেন, আগুনে মানুষ পোড়ানোর অপরাধ থেকে অন্তর্ঘাত নাশকতা থেকে আইনের আদালতে এবং জনতার আদালতে আপনি খালেদা জিয়া রেহাই পাবেন না। তেমনি যুদ্ধাপরাধীদেরও ফাসীর দড়ি থেকে বাচাতে পারবেন না। আপনার পরিণতির জন্য আপনি প্রস্তুত হন। আপনি যতই কৌশল বদলান, মাথায় গণতন্ত্রের উড়না যতই পরার চেষ্টা করুন মোদির সাথে যতবারই করমর্দন করেন ইতিহাসে আপনার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নির্ধারণ করে দিয়েছে এবং সেই ভবিষ্যৎটা হচ্ছে রাজনীতির বাইরেই থাকতে হবে এবং আপনাকে আদালতে বারান্দায় দাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে একটি নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন গণতাান্ত্রিক শক্তির সাথে গণতান্ত্রিক শক্তির নির্বাচন হবে। প্রতিযোগিতার নির্বাচন হবে। কিন্তু ঐ নির্বাচনে গণতন্ত্রের অচল মাল স্বচল হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আগুন সন্ত্রাসী খালেদা জিয়ার ঐই নির্বাচনে অংশ নেয়ার কোন সুযোগ থাকবেনা। তথ্য মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের সমাজতন্ত্রসহ চার মূলনীতির ওপর দাড়ানোর চেষ্টা করেছেন শেখ হাসিনা। সেজন্যে তিনি রাষ্ট্রের সীমিত ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন। তাতেই জনগন অনেক সুফল পেয়েছে। শুধু বাজার ব্যবস্থাপনাতে নয়, একদিকে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে অপরদিকে বৈষম্য কমাতে, দারিদ্র কমাতে, নারীর ক্ষমতায়ন করতে শিশুর নিরাপত্তা দিতে দু:স্থ এবং গরীবদের বাচার চাহিদা পুরণে এবং সামগ্রিক সামাজিক নিরাপত্তার জাল বিস্তারে সংবিধানের মুল নিদের্শনার ভিত্তিতে সীমিত আকারে রাষ্ট্রকে ব্যবহার করেছেন এবং ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন। ফলে আমরা সুফল পেয়েছি। জাতির প্রয়োজনে সমাজের প্রয়োজনে জনগনের প্রয়োজনে রাষ্ট্রের এই সীমিত ক্ষমতা প্রযোগ আমাদের আরো উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে হবে।
তথ্য মন্ত্রী বলেন, ইদানীং দুয়েকজন মিনমিন করে বলার চেষ্টা করছেন যে বাংলাাদেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতির স্পে দিতে হবে, জায়গা দিতে হবে। গণতন্ত্রে গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে প্রতিযোগিতা হয়। তাদের জন্য স্পেস থাকে। কিন্তু জেনেটিক্যালি আনডেমক্রেটিক ফোর্সের কোন জায়গা নেই। গণতন্ত্র মাপবেন কি দিয়ে ? বাক স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়ে ? যারা সরকারের সমালোচনা করছেন তারাইতো প্রমান করছেন যে তারা গণতান্ত্রিক এই অধিকারটা ভোগ করছেন। সুতবাং গণতন্ত্রের ঘাটতি এখানে নেই। বাংলাদেশ এই মুত’তে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণমাধ্যম এবং স্বাধীন মত প্রকাশের স্বর্ণযুগ আমরা পালন করছি। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের ঘাটতি নেই তবে রাজনীতিতে বিষফোড়া আছে। এই বিষফোড়া অশান্তি তৈরী করছে। ফোড়াগুলোকে ছোটখাট অস্ত্রপচারের মাধ্যমে আমাদের কেটে বাদ দিতে হবে। সেই কাজটা আমাদের সম্পন্ন করতে হবে। তারজন্য একটু কষ্ট হবে। এই কষ্ট আমাদের সহ্য করতে হবে। এখানে কোন ছাড়া আমরা দিতে পারিনা। গণতন্ত্র বাচাতে গণতন্ত্রের এই বিষফোড়াগুলোকে ধবংস করে দিতে হবে। বাজেট আলোচনায় পানি সম্পাদক মন্ত্রী ব্যারিষ্টার মাহমুদসহ আরো বেশ কযেকজন সংসদ সদস্য অংশ নেন।