১৮ দলের কর্মসূচি ব্যর্থ, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া আবারো ব্যর্থ হয়েছেন। কারণ বিরোধী দলের কর্মসূচির সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই।’
নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে বিরোধী জোটের ঢাকা অভিমুখী কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে রবিবার সন্ধ্যায় ধানমণ্ডি ৩/এ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ঢাকা অভিমুখী কর্মসূচি দিয়ে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার প্রয়াস চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। জানমালের ক্ষতি করে কেউ কোনো দাবি আদায় করতে পারেনি। এবারো খালেদা জিয়া পারবেন না।’
আগামী ৫ জানুয়ারির নির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই পিছু হটবে না বলে আবার ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘খালেদা জিয়া জনসভায় আসতে চেয়ে জনগণের সঙ্গে নাটক করেছেন। আজকের জনসভা সকাল ১০টায় থাকলেও তিনি বিকাল ৩টায় সভাস্থলে আসার জন্য রওয়ানা দেন। তিনি জনগণের সঙ্গে নাটক করেছেন। যা দেখে দেশের অনেকেই হেসেছেন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আজকে খালেদা জিয়ার সমাবেশে দলের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেয়া হয়নি। বহুদিন ধরে তাদের কোনো সমাবেশেই লোক সমাগম দেখা যাচ্ছে না। কারণ তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে এমনিতেই মানুষ তাদের সমাবেশে আসছে না।’
হাইকোর্টে আইনজীবীদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে আশরাফ বলেন, ‘আজ যারা হাইকোর্টে সহিংসতা করতে এসেছিল তারা কেউ আইনজীবী নয়। তারা বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডার। কেবল কালো কোর্ট পরে আইনজীবী সেজে হাইকোর্টে এসে মারামারি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধান বিচারপতির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হবে। জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা গণতন্ত্র চায় না যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চায়।’
অবরোধ ও হরতালের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘এখন বিরোধী দলের অবরোধ আর হরতালের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। লংমার্চ কোথাও দেখিনি। খালেদা যদি মনে করেন, ২১ বছর আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তা তিনি পারবেন না।’
আশরাফ বলেন, ‘স্বৈরতন্ত্রের মাধ্যমে গণতন্ত্র রক্ষা হতে পারে না। যাদের জন্ম বন্দুকের নলের আগায় তাদের মুখে গণতন্ত্র মানায় না। আওয়ামী লীগই একমাত্র গণতন্ত্রের প্রতীক।’
খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সাজ দেখে মনে হয়েছিল, খালেদা জিয়া পার্টিতে যাচ্ছেন। সমাবেশে যাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছিল না। কারণ যুদ্ধে যাওয়ার ড্রেস দেখেই বোঝা যায়। মূলত তিনি সমাবেশে যাওয়ার অভিনয় করেছেন। তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। আমরা মনে করেছিলাম, তিনি সিরিয়াস কিছু বলবেন কিন্তু তিনি তা না বলে প্রশাসনের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে তাদের দেখে নেয়ার হুমকি দিলেন। যা উনার মুখে মানায় না।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বনমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মনি ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।