১৪ দিনের স্বাধীনতা!
শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গত আগস্ট মাসে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেছিলেন ‘খলনায়ক’ তারকা সঞ্জয় দত্ত। আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ ১ অক্টোবর সকালে ১৪ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে পুনের ইয়েরাওয়াড়া কারাগার থেকে মুম্বাইয়ে নিজ বাড়িতে পৌঁছেছেন সঞ্জয় দত্ত।
মুম্বাই পৌঁছে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে সঞ্জয় বলেন, ‘আমি আমার পরিবারের সঙ্গে একান্তে কিছু সময় কাটাতে চাই। অল্প এই কয়েকটা দিন আমাকে আমার পরিবারের সঙ্গে নির্ঝঞ্ঝাটে সময় কাটাতে দিন। দুঃসময়ে আমার প্রতি সব রকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমি আমার ভক্তদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
সঞ্জয় আরও বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ভারতের আইন ও আদালতের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। প্যারোল শেষ হলেই আমি কারাগারে ফিরে যাব।’ এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে জিনিউজ।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালের মার্চ মাসে মুম্বাইয়ে ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি স্থানে ১২টি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরিত হয়েছিল। ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২৫৭ জন নিহত হয়। আর আহত হয় ৭০০ জনের বেশি। ভয়াবহ ওই সহিংসতার এক মাস পর বিস্ফোরণ মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকা ও বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ।
এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে সঞ্জয় দত্তের বাড়ি তল্লাশি করে লাইসেন্সবিহীন একটি নাইন এমএম পিস্তল এবং একটি একে-৫৬ রাইফেল খুঁজে পায় পুলিশ। পরবর্তী সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পেলেও বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ২০ বছর আগের মামলায় গত ২১ মার্চ সঞ্জয়কে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।
গত ১৬ মে আদালতে আত্মসমর্পণের পর প্রথমে মুম্বাইয়ের আর্থার রোড কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় সঞ্জয়কে। সেখানে ছয় দিন বন্দী থাকার পর তাঁকে ইয়েরাওয়াড়া কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এই মামলায় আগে দেড় বছর সাজা খেটেছেন সঞ্জয়। এই হিসাবে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত তাঁকে ইয়েরাওয়াড়া কারাগারে বন্দী থাকতে হবে।