১২২ দেশকে জিএসপি দিল যুক্তরাষ্ট্র, বাদ বাংলাদেশ ও রাশিয়া
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২৯ জুন আদেশে স্বাক্ষর করার পর ২৯ জুলাই থেকে বিশ্বের ১২২টি দেশ ও অঞ্চলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধার (জিএসপি) দরজা খুলে গেছে। ফলে ওই সব দেশ ও অঞ্চল থেকে পাঁচ হাজার ধরনের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে বিনা শুল্কে রপ্তানি করা যাবে। দেশগুলোর মধ্যে সার্কভুক্ত ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও আফগানিস্তান থাকলেও নেই বাংলাদেশের নাম। এতে হতাশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় ওই দেশটিকেও রাখা হয়নি জিএসপির তালিকায়।
গত ২৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রেজিস্টারের ভলিউম ৮০, নম্বর ১৪৪-এর নোটিশে বাংলাদেশ ও রাশিয়া সম্পর্কে বলা হয়েছে, দ্য ট্রেড প্রেফারেন্সেস এক্সটেনশন অ্যাক্ট অব ২০১৫-তে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ও রাশিয়া বাদে অন্য সব উপকারভোগী দেশ ২০১৫ সালের ২৯ জুলাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা ভোগ করবে।’
এর মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে এক ধরনের মনস্তাত্তি্বক দ্বন্দ্ব রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। শীতল যুদ্ধের অবসানের পর দেশটিকে জিএসপি সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। তবে ইউক্রেনের ক্রিমিয়াকে নিজেদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করায় মস্কো-ওয়াশিংটন সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। ফলে দেশটির জিএসপি সুবিধাও স্থগিত হয়ে যায়।
বাংলাদেশের শ্রমমান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে জিএসপি বাতিলের জন্য দেশটির বাণিজ্য দপ্তর ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের (ইউএসটিআর) কাছে ২০০৭ সালে রিট পিটিশন দায়ের করে দেশটির প্রভাবশালী শ্রমিক সংগঠন ‘দ্য আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার অ্যান্ড কংগ্রেস অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্গানাইজেশনস (এএফএল-সিআইও)। প্রতি দুই বছর পর ওই মামলার শুনানির পর পরবর্তী শুনানির আগে পর্যন্ত বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বর্ধিত করে আসছিল ইউএসটিআর। তবে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর ওই বছরের ২৭ জুন বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র, যা ২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়। জিএসপি পুনবর্হালের শর্ত হিসেবে ওই সময় ১৬ দফা কর্মপরিকল্পনা দিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে বলে বিশ্বের শক্তিধর এ দেশটি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মনে করে, ওই শর্তগুলোর ৯৮ ভাগই বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ। এরপর কয়েক দফা অগ্রগতির প্রতিবেদন ইউএসটিআরের কাছে পাঠিয়ে জিএসপি পুনর্বহালের অনুরোধ করে ঢাকা। শর্ত বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসও সন্তোষ প্রকাশ করেছে নানা সময়ে। তবে পরক্ষণেই জুড়ে দেওয়া হয়েছে আরেকটি বাক্য- জিএসপি পুনর্বহালের জন্য বাংলাদেশকে আরো অগ্রগতি অর্জন করতে হবে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি (টিকফা) স্বাক্ষরের পরও জিএসপি পুনর্বহালে নরম হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান।
ইউএসটিআরের ওয়েবসাইটে থাকা তথ্যানুযায়ী, দারিদ্র্য দূর করার ব্যাপারে সহায়তার অংশ হিসেবে বিশ্বের ১২২টি দেশ ও অঞ্চলের পাঁচ হাজার রকমের পণ্যে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৭৪ সাল থেকে চালু করা এই জিএসপি স্কিমের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই। ফলে বাংলাদেশসহ বাকি ১২১টি দেশও এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ জিএসপি স্কিমের মেয়াদ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর বিলে গত ২৯ জুন বারাক ওবামা স্বাক্ষর করেন, যা গত ২৯ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে।
বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডাব্লিউটিও) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সব স্বল্পোন্নত দেশ উন্নত দেশগুলোর বাজারে শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানির সুবিধা বা জিএসপি পাওয়ার দাবিদার। এর আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮টি দেশ বাংলাদেশের অস্ত্র বাদে সব পণ্যে জিএসপি সুবিধা দিচ্ছে। পাশাপাশি কানাডা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, চীনসহ বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে এ সুবিধা দিচ্ছে। কিন্তু বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র কখনোই বাংলাদেশের সব পণ্যে জিএসপি সুবিধা দেয়নি। স্থগিত হওয়ার আগ পর্যন্ত প্লাস্টিক, চামচ, সিরামিকস, গলফ খেলার উপকরণের মতো পণ্য এ সুবিধা পেত। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত দীর্ঘদিন ধরে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দাবি করে এলেও তা আমলে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। অথচ ব্রাজিল, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক, ভেনিজুয়েলা, ফিলিপাইন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো বিকাশমান ও উচ্চ মধ্যম আয়ের অনেক দেশকে এ সুবিধা দিয়েছে দেশটি।
ইউএসটিআর বলেছে, জিএসপি সুবিধা পেতে আটটি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশকে সন্তোষজনক অবস্থায় থাকতে হবে, যার একটি বাদে আর কোনোটিতেই অযোগ্য নয় বাংলাদেশ। ৭ নম্বর শর্তে শ্রমিকদের সংগঠন করার অধিকার নিশ্চিত করা, সিবিএ ব্যবস্থা থাকা, বাধ্যতামূলক শ্রম পরিহার করা, শিশুশ্রম না থাকা, ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ এবং কর্মঘণ্টা ও কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার শর্ত রয়েছে। এ শর্তেও বাংলাদেশ দিন দিন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করছে। বিভিন্ন সময় এসব ক্ষেত্রে অগ্রগতির স্বীকৃতি দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনা ও বর্তমান রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট। এ ছাড়া ‘৩ প্লাস ৫’-এর বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের পাশাপাশি স্পেন, নেদারল্যান্ডস, জার্মানির রাষ্ট্রদূতরাও এসব অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন। ১৬ দফা বাস্তবায়নে অগ্রগতির কারণে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালের আশ্বাস দিয়ে ওয়াশিংটন কয়েক দফা ঢাকার কাছ থেকে ‘কান্ট্রি অবস্থানপত্র’ নিয়েছে। তবে এখনো তা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত দেয়নি।
ইউএসটিআরের বাকি শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- কমিউনিস্ট নিয়ন্ত্রিত না হওয়া এবং ডাব্লিউটিওর নীতিমালা অনুযায়ী স্বাভাবিক বাণিজ্য সম্পর্ক বহাল রাখা, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের সদস্য হওয়া, আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পণ্যের রপ্তানি স্থগিত না করা, অযৌক্তিকভাবে বিশ্ববাজারে কোনো পণ্যের দাম না বাড়ানো, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন পণ্য তৈরি না করা, পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত না করা, কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় ও সহায়তা না দেওয়া।
জিএসপি স্কিমে বাংলাদেশের নাম না থাকায় হতাশা প্রকাশ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ গত ৬ আগস্ট চট্টগ্রামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ১৬ দফা কর্মপরিকল্পনার ৯৮ থেকে ৯৯ ভাগই বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ। তা সত্ত্বেও দেশটি ভারত, পাকিস্তানসহ অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য জিএসপি সুবিধা চালু করলেও বাংলাদেশকে তা থেকে বঞ্চিত করেছে।
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট ওই অনুষ্ঠানে বলেন, গত দুই বছরে বাংলাদেশ পোশাক খাতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। আড়াই শতাধিক নতুন রেজিষ্ট্রার্ড ইউনিয়ন হয়েছে। পরিদর্শন করা কারখানাগুলোর অনলাইন ডাটাবেইস প্রকাশ করা হচ্ছে। শতাধিক নতুন লেবার ইন্সপেক্টরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তবে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালের জন্য সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশকে আরো কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, বিশেষ করে শ্রমিক অধিকারের ক্ষেত্রে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ১ শতাংশেরও কম জিএসপির আওতায় হলেও এ সুবিধা বঞ্চিত হলে তা দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের রপ্তানি ও বিনিয়োগ পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, জিএসপির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ কম হলেও এ সুবিধা না থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে এক ধরনের নেতিবাচক মনোভাব দেখা দেবে। এ ছাড়া ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) চুক্তির কারণে ভিয়েতনাম থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা বিনা শুল্কে সব পণ্য আমদানি করতে পারবে। ফলে তারা এখন ভিয়েতনামের দিকে ঝুঁকছে, যা বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি ডেকে আনবে। কিন্তু বাংলাদেশের টিপিপির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই।
ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘দ্য আফ্রিকান গ্রোথ অ্যান্ড অপরচুনিটি অ্যাক্ট’ বা আগোয়া’র আওতায় আফ্রিকার দেশগুলোকে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অতীতে মার্কিন কংগ্রেসে আগোয়ার বাইরে থাকা স্বল্পোন্নত দেশগুলোকেও একই সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন সময় প্রস্তাব উঠেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রস্তাব পাস হলে যাতে বাংলাদেশ তা গ্রহণ করতে পারে সে জন্য এখন থেকেই সচেষ্ট হতে হবে। জিএসপি পুনর্বহালসহ এসব সুবিধা অর্জনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ১৬ দফা কর্মপরিকল্পনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করে তা টিকফা ফোরামের আলোচনায় তুলে ধরতে হবে। না হলে বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সম্পর্ক ততটা সুদৃঢ় নয়। সে কারণে দেশটির দেওয়া ১৬ দফা কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলেও রাজনৈতিক সুসম্পর্ক নিশ্চিত করা না গেলে জিএসপি পুনর্বহালের সম্ভাবনা ক্ষীণ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পৃথিবীর ১২২টি দেশকে জিএসপি সুবিধা দিয়েছে ওয়াশিংটন। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই যে দেশটির রাজনৈতিক সম্পর্ক ভালো তা নয়। রাজনৈতিক দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও ভেনিজুয়েলাকেও জিএসপি দেওয়া হয়েছে। এখন বরং দেশটি যে ১৬ দফা কর্মপরিকল্পনা দিয়েছে, তা নিজেদের স্বার্থেই যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা দরকার।
২০১৩ সালের ২৭ জুন বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিতের সিদ্ধান্তে স্বাক্ষরের দিন বারাক ওবামা ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদেরকে একটি চিঠি পাঠান। চিঠির শেষ প্যারায় তিনি লেখেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, শ্রমিক অধিকার রক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য আমার প্রশাসন আপনার সরকার, বাংলাদেশের বেসরকারি খাত, বাংলাদেশি পণ্যের যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাণিজ্যের মাধ্যমে অগ্রগামী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আমরা চাই। কিন্তু আমরা এটাও চাই, অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার মধ্য দিয়ে হাতে হাত রেখে শ্রমিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়ানো হবে। তাদের কর্মপরিবেশ, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টির ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হবে। আমি আশা করি, আগামীতে যত দ্রুত সম্ভব উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার বিবেচনা যাতে আমি করতে পারি, সে জন্য আগামী মাসগুলোতে আপনার সরকার যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থা এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করবে।’