হয়রানির শিকার ফ্রান্সের মুসলিমরা
ফ্রান্সে জরুরি অবস্থার মধ্যে পুলিশরা সংখ্যালঘু মুসলিমদের শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করেছে বলে দাবি করেছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বুধবার প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টে তারা জানায়, হয়রানি থেকে ছাড় পায়নি শিশু কিংবা বৃদ্ধ কেউই। এই বিষয়টিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে সংস্থা দুটি।
হয়রানির শিকাররা জানান, পুলিশরা তাদের বাড়ি, রেস্তোর এমনকি মসজিদে ঢুকে হয়রানি করেছে। তাদের আসবাব ভেঙেছে। শিশুদেরকে হুমকি দিয়েছে এমনকি কোরআন শরীফও মেঝেতে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ করেছেন মুসলিমরা।
শুধু এখানেই থেমে থাকেনি মুসলিমদের দুর্দশা। অনেকে শুধু মুসলিম হওয়ার কারণে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। কারো বেতন কমেছে কেউবা শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
নভেম্বরের ১৪ তারিখ থেকে দেশটিতে অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওলাদের ঘোষণা অনুযায়ী জরুরি অবস্থার মাঝে কারও বাড়িতে অভিযান চালাতে ওয়ারেন্টির প্রয়োজন হবে না। কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি অন্তত ৩ হাজার ২০০ অভিযানের মধ্যে খুবই অল্পসংখ্যক সাফল্য এসেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, ৩৫০ থেকে ৪০০ মানুষকে এসময় গ্রেফতার করা হয় যার মধ্যে মাত্র ৫ জনই সন্ত্রাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। অন্যদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায় ৬০ জনেরও বেশি মুসলিমকে গ্রেফতারের সময় কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয়।
ফ্রান্সে মুসলিমদের সংখ্যা ৫৫ লাখ থেকে ৬২ লাখ যা পুরো জনগোষ্ঠীর মাত্র সাত দশমিক ছয় শতাংশ। আর তাদের অনেককেই এখন দুর্বিষহ দিন কাটাতে হচ্ছে। গত বছর প্যারিসে আইএস এর সন্ত্রাসী হামলার পরই দেশজুড়ে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ে। আল-জাজিরা