হ্যাকিং থেকে বাঁচতে করণীয়

12/01/2014 7:06 amViews: 5

বর্তমান প্রেক্ষপটে অনলাইন দুনিয়ায় হ্যাকিং শব্দটি একটি আতঙ্কের নাম। বিশেস করে অনলাইন বিজ্ঞাপনের সম্ভাবনাময় খাতকে প্রশ্নবিদ্ধ আর বেকায়দায় ফেলতেই সুবিশাল পরিকল্পনা নিয়ে একটু একটু করে এগোচ্ছে। এফআইয়ের কাছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে। এরই মধ্যে এ আক্রমণকে প্রতিহত করতে পরিকল্পনা নেওয়ার প্রস্তুতিও চলছে। কিন্তু এ আগাম প্রস্তুতি আক্রমণের তুলনায় অপ্রতুল ঠেকছে সংশ্লিষ্টদের কাছে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সাইটগুলোকে সুরক্ষা দিতে কারিগরি বিভাগ বিকল্প সার্ভার বসিয়েছে। আর তাতে তথ্যগত ব্যাকআপও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আক্রমণ পরিসরের তুলনায় অপর্য?াপ্ত। তাই আশু আক্রমণকে মোটেও হালকা চোখে না দেখতে নির্দেশ দিয়েছে এফবিআই।

এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যের জন্য আগ্রহীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক সাইটে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য আক্রমণের দিনক্ষণ না ঠিক হলেও নতুন বছরের যে কোনো দিনকেই আমলে নিচ্ছে এফবিআই। বিশ্বের অসংখ্য সতর্ক ব্যবহারকারী নিজের অজান্তেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারেন ইন্টারনেট দুনিয়া থেকে। গত বছর এ ধরনের আক্রমণের আশঙ্কায় ব্যাপক প্রতিরোধমূলক প্রস্তুতি নিয়েছিল এফবিআই। কিন্তু ব্যাপকতার আশঙ্কায় তা মোটেও পর্যাপ্ত হয়ে উঠেনি। এমনই মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। মূলত বিশ্বের অনলাইন বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাকে বড় ধরনের হুমকির মুখে ফেলতেই এমন আক্রমণের পরিকল্পনা নিয়েছে একদল চৌকস হ্যাকার। এরই মধ্যে হ্যাকররা সম্ভাব্য টার্গেটদের কম্পিউটারে তাদের অজান্তেই পাহারা বসিয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণের। আক্রমণের প্রথম লক্ষ্য আক্রান্ত পিসির অ্যান্টিভাইরসকে বিকল করা। এরপর ইন্টারনেট সংযোগ সফটওয়্যারে স্পাই নেটওয়ার্ক দিয়ে তা বিচ্ছিন্ন করা। সবশেষ অনলাইন বিজ্ঞাপনের প্রচারণা লিঙ্কগুলোকে ভেঙে দিয়ে তা ভাইরাস ছড়ানো। এ কাজ সুসম্পন্ন করতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৫ মিনিট। আর তাতেই ইন্টারনেট সংযোগ বিকল হয়ে পড়বে। এফবিআইয়ের পর্যবেক্ষকমূলক বিশেষ প্রতিনিধি টম গ্র্যাসো জানান, সম্ভাব্য এ আক্রমণ আসলেই বড় ধরনের একটি আতঙ্ক। সঙ্গে জড়িতদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে। এমনকি জেলেও পাঠানো হবে। কিন্তু ভুক্তভোগীরা হয়ে পড়বেন ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন। এটাই ভাবনার বিষয়।

এ আক্রমণে বেশি ধরাশায়ী হবেন এঙ্প্লোরার ব্যবহারকারীরা। আর বার্তা পাবেন ‘পেজ নট ফাউন্ড’। এতে তারা ইন্টারনেট সেবাদাতাকেই দুষবেন। কিন্তু এ কাজটি হবে একটি মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর কাছে তেমন কোনো তথ্যই থাকবে না। এটাই মূল আশঙ্কার বিষয়। ইন্টারনেট সিস্টেম কনসোর্টিয়ামের সভাপতি এবং প্রতিষ্ঠাতা পল ভিঙ্ িজানান, সম্ভাব্য এ আক্রমণ প্রতিহত করতে বিকল্প দুটি সার্ভার বসানো হয়েছে। যাতে ভুক্তভোগীদের হারানো তথ্য ফিরে পাওয়া যায়। কিন্তু গত ডিসেম্বর অবধি এ বিকল্প সার্ভারে সম্ভাব্য তথ্য সংরক্ষণ করা হয়নি। এ জন্য তথ্য সংরক্ষণের তাগিদ দিয়েছে নিউইয়র্ক আদালত। * ইনফো ডেস্ক

Leave a Reply