হামাসের নতুন নেতা ইসমাইল হানিয়ে: তিনি কি পারবেন আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা কাটাতে?
হামাসের নতুন নেতা ইসমাইল হানিয়ে: তিনি কি পারবেন আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা কাটাতে?
ফিলিস্তিনের গাজা এলাকায় যিনি হামাস গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন, সেই ইসমাইল হানিয়েকে এখন হামাসের প্রধান নির্বাচিত করা হয়েছে।
চুয়ান্ন বছর বয়সী মি. হানিয়ে খালিদ মিশালের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন, যিনি দুই মেয়াদ ওই পদে থাকার পর বিদায় নিচ্ছেন।
গাজা সিটি এবং দোহায় একযোগে হামাসের এই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়।
ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে এই ভোটাভুটি হয়েছে – কারণ রাফাহ সীমান্তের ক্রসিংটি বন্ধ থাকায় মি. হানিয়ে গাজার বাইরে যেতে পারেন নি।
এই প্রথমবারের মতো হামাস এমন একজন নেতা বেছে নিল – যিনি ফিলিস্তিনি এলাকার ভেতরেই অবস্থান করছেন।
এতদিন হামাসের সার্বিক নেতা ছিলেন খালেদ মিশাল। তিনি দুই মেয়াদে দলটির প্রধানের পদে ছিলেন।
অন্যদিকে, গত ১০ বছর ধরে মি. হানিয়ে ছিলেন গাজায় হামাস আন্দোলনের নেতা।
২০০৬ সালে ইসমাইল হানিয়ে ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তাকে পরের বছর জুনেই বরখাস্ত করেন।
এর পর হামাস গাজা এলাকার শাসনভার দখল করে নেয়। সে সময় মি আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ গ্রুপের সাথে তাদের রক্তাক্ত যুদ্ধও হয়েছিল। তবে মি. হানিয়েকে একজন বাস্তববাদী নেতা হিসেবে দেখা হয়। মনে করা হয়, তিনি হয়তো হামাসের আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা কাটানোর চেষ্টা করবেন।
সম্প্রতি হামাস তার নীতিমালা সংক্রান্ত একটি নতুন দলিল প্রকাশ করেছে। একে অনেকেই দেখছেন হামাসের ভাবমূর্তি কিছুটা নরম করার একটা চেষ্টা হিসেবে।
ইসরায়েল ছাড়াও যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং অন্যান্য শক্তিধর দেশ হামাস বা তার সামরিক শাখাকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।