হানাহানির রাজনীতি বন্ধের সময় এসেছে : খালেদা
প্রতিবেদক : বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, রাজনীতি সুন্দর না হলে কোনো কিছুই অর্জন করা সম্ভব নয়। সময় এসেছে হানাহানি, দ্বন্দ্ব, ঘৃণা ও বিদ্বেষের রাজনীতি বন্ধ করার।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ব্যবসায়ী পরিষদ আয়োজিত বর্তমান ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বিষয়ক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমাদের বর্তমান রাজনীতি হচ্ছে সংঘাতময়, তাই ভবিষ্যত্ হয়ে পড়েছে সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। ব্যবসায়ীদের সমাবেশে এসে রাজনীতির কথা কেন বলছি। কারণ আধুনিক যুগে রাজনীতিকরা থাকেন জাতীয় নেতৃত্বের আসনে। এই রাজনীতিই অর্থনীতিসহ সমাজের অন্য প্রায় সব অঙ্গন ও তত্পরতাকে স্পর্শ ও প্রভাবিত করে। এই রাজনীতি যদি ঠিক না হয় তাহলের কোনো কিছুই ঠিক মতো চলবে না।’
তিনি বলেন, অতীতমুখী ও স্লোগানের রাজনীতি বর্জনের সময় এসেছে। রাজনীতি হতে হবে জনকল্যাণ ও ঐক্যের, ঘৃণার নয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষকে যারা সম্মান করতে জানে না তাদেরকে মর্যাদার আসন থেকে নামানো সময় এসেছে।
তিনি বলেন, দেশে শিল্পায়ন মুখ থুবড়ে পড়েছে। লাখ লাখ বেকার তুরুণের চোখে-মুখে হতাশা। মাদক সমাজের শান্তি কেড়ে নিয়েছে।
খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, আওয়ামী লীগের লোকেরা ঋণের নামে ব্যাংক লুটপাট করেছে। গত পাঁচ বছরে কাল্পনিক উন্নয়নের কথা শুনে জনগণের কান ঝালাপাল হয়ে গেছে। গার্মেন্ট শিল্প ধ্বংসের চক্রান্ত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘আমি এখনো বলছি তাদের দ্বায়িত্বশীল হতে, মানুষের হূদয়ের স্পন্দন অনুভব করা আহ্বান জানাবো।’
তিনি বলেন, ‘সময় দ্রুত বয়ে যাচ্ছে, আমি আশা করবো তারা সমঝোতার পথে আসবে। দেশকে হানাহানি ও অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দেবেন না।’
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর সভাপতিত্বে ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশে মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সালাম মোর্শেদী, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আব্দুল মোতালেব, বাংলাদেশে টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি শহিদুজ্জামান খান, রিহ্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোকাররম হোসেন খান, উত্তরবঙ্গ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুর রশিদ তাপস, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের লুত্ফর রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আফজাল হোসেন, ফরিদপুর চেম্বার অব কমাসের্র সভাপতি আওলাদ হোসেন বাবর, বায়রার সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, বিজিএমইএর সাবকে সভপাতি এসএম ফজলুল হক, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ, ব্যাসায়িক নেতা শাহেদুর রহমান, সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সভাপতি জাকির হোসেন প্রমুখ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম ওসমান ফারুক, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।