হাইওয়ে পুলিশের গাফিলতিতে এফবিজেও এর চেয়ারম্যানসহ সঙ্গীরা ডাকাতের কবলে, সর্বস্ব লুট
ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অরগানাইজেশন (এফবিজেও) এর চেয়ারম্যান লায়ন এইচ এম ইব্রাহিম ভূঁইয়া ও তার সঙ্গীগণ ডাকাতের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন। গতকাল ২৯ মে দিবাগত রাত ১০টা ২০ মিনিটের সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে এর ইলিয়টগঞ্জ এর পাশে তিরচর নামক এলাকায় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, এফবিজেও এর চেয়ারম্যান লায়ন এইচ এম ইব্রাহিম ভূঁইয়া জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন অবগত করে তার সঙ্গী এফবিজেও এর অর্থ সচিব মোঃ আব্দুল বতেন সরকার, ক্যামেরাপারসন মোঃ শাহাদাত হোসেন ও সাংবাদিক সালমান ২৯ মে সকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার দক্ষিণ কাইচ্ছুটি মডেল হাই স্কুল এর ভূমি সংক্রান্ত বিবাদে তথ্য সংগ্রহের কাজে সেখানে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে দক্ষিণ কাইচ্ছুটি মডেল হাই স্কুল এর ম্যানেজিং কমিটির অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ মনিরুল হক ও ছিলেন। সেখানে কার্য শেষে নয়ন এইচ এম ইব্রাহিম ভূঁইয়া সঙ্গীদের নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি বরুড়া উপজেলার বডরইয়া গ্রামে যান ও তার পিতা মাতার কবর জিয়ারত করে রাতের খাবার শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে এর চান্দিনা থানার শিলচর এলাকায় আসলে তাদের গাড়ির পেছনের ডানপাশে চাকাটি ব্রাষ্ট হয়ে যায়। সাথে সাথে ইব্রাহিম ভূঁইয়া প্রথমে দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশকে নিরাপত্তা সহায়তার জন্য তার মোবাইল ফোনে কল করেন। তারা জানান এলাকাটি ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার অধীন। ভূঁইয়া সাহেব ইন্ডিয়ার গঞ্জ হাইওয়ে থানায় ফোন করলে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা অন্য কোন গাড়ির সহায়তায় তাদের গাড়িটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। ভূঁইয়া সাহেব হাইওয়ে টহল টিম, হাইওয়ে পুলিশ সুপার কুমিল্লা রেঞ্জ, কন্ট্রোল রুম, এডিশনাল আইজি ট্রাফিক কে নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বারবার ফোন দেন। কিন্তু ৪০/৪৫ মিনিটেও হাইওয়ের কোন পুলিশ তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেনি বলে তিনি (ইব্রাহিম ভূঁইয়া) অভিযোগ করেন। এ সময়ের মধ্যে আনুমানিক ১০.২০ মিনিটে ৭/৮ জনের সঙ্গবদ্ধ ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহ তাদের আক্রমণ করে তাদের কাছে থাকা চারটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন একটি এইচডি ক্যামেরা ও একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা সহ তাদের সকলের মানিব্যাগ ছিনাইয়া নিয়ে পালিয়ে যায়। ডাকাতদল পালিয়ে যাওয়ার এক থেকে দুই মিনিটের মধ্যে হাইওয়ে পুলিশ তাদের কাছে এসে ঘটনার বিবরণ জানতে চান। এসময় চাইলে পুলিশ ডাকাতদের খুঁজে বের হতে পারত। কিন্তু তারা তা করেন নাই। পরী হাইওয়ে থানা ইনচার্জ, চান্দিনা থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন ও এএসপি সার্কেল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে হাইওয়েতে রাত দশটা /সাড়ে দশটায় ডাকাতির ঘটনার কোনো নজির নেই। এই রোডে মাঝেমধ্যে রাত ২টার পরে এমন ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত গতিতে ঘটনাস্থলে সহযোগিতার জন্য আসলে এই ডাকাতির ঘটনাটি ঘটতো না।
এই ঘটনায় লায়ন এইচ এম ইব্রাহিম ভূঁইয়া চান্দিনা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এজাহারটি মামলা আকারে নথিভুক্ত করা হয়নি।