হরতাল বন্ধে আপাতত আইন হচ্ছে না
হরতাল বন্ধে আপাতত আইন হচ্ছে না
বিএনপি-জামায়াত জোটের তথাকথিত অবরোধের নামে নাশকতার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাগুলোর বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রয়োজন নেই। নাশকতার মামলাগুলো যে সব অপরাধের জন্য দায়ের করা হয়েছে সেসব অপরাধগুলো সুনির্দিষ্ট আইনে সন্নিবেশিত রয়েছে এবং সেগুলো বিচারের জন্য আদালত বিদ্যমান। সোমবার দশম জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনের সূচনা দিনে সংরক্ষিত নারী আসনের সেলিনা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এ্যাডভোকেট আানিসুল হক এসব কথা বলেন। হরতাল-অবরোধ বন্ধে আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত সরকারি দলের তাজুল ইসলামের পৃথক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, হরতাল ও অবরোধ বন্ধ করার লক্ষ্যে কোন আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। হরতাল, অবরোধ ও বিভিন্ন প্রকার নাশকতার নামে দেশের জনসাধারণ ও তাদের জানমাল যারা ধবংস করেছে তাদেরকে বিদ্যমান সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯-এর আওতায় এনে শাস্তির বিধান রয়েছে। উক্ত আইনের সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী বিগত দিনগুলোতে সংঘটিত অপরাধের জন্য সারাদেশে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, দায়েরকৃত এসব মামলাসমূহের বিচার কার্য যাতে থেমে না থাকে সেজন্য সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ধারা ২৮ এর উপধারা (১) ও (২) এর বিধান অনুযায়ী সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন ও বিচারক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত উক্ত আইনের ধারা ২৭ এর বিধান অনুযায়ী দায়রা জজ বা অতিরিক্ত দায়রা জজ কর্র্তৃক উক্তরূপ মামলার বিচারকার্য পরিচালনার জন্য ২০০৯ সালের ৯ই জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করে সকল জেলা ও দায়রা জজকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূইয়ার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধী নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলার জট কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতি জেলায় কেস ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠনের মাধ্যমে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির পদক্ষেপ হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া অধিক সংখ্যক বিচারক নিয়োগ করে সরকার আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, আলোচিত, নৃশংস ও নারকীয় ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাটি বর্তমানে বিচারের সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। এ মামলায় মোট সাক্ষীর সংখ্যা ৪৯১ জন এবং আসামির সংখ্যা ৫২ জন। গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলা দুটিতে এ পর্যন্ত ১৪৫ জন করে ২৯০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আরও ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালতের কাছে সমন জারি করার প্রার্থনা জানানো হয়েছে। ৩৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ বাকী রয়েছে। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রত্যেক সপ্তাহে ২/৩টি তারিখ পড়ছে।