হরতালে দগ্ধ তিন চালকই মারা গেলেন
নিজস্ব প্রতিবেদক: যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের পর জামায়াতের ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের সময় পিকেটারদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ তিন পরিবহন চালকই মারা গেলেন। সোমবার সকালে কুমিল্লার ট্রাক চালক সেকেন্দার ব্যাপারী (৪২) ও সাভারের বাস চালক নজরুল ইসলামের (৪০) মৃত্যু হয়েছে। এর আগে রবিবার মারা যান বগুড়ার ট্রাক চালক শামসুল হক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিত্সাধীন অবস্থায় এই তিনজনের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান, হরতালের প্রথম দিন ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে শিবিরকর্মীদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হন সেকেন্দার। স্থানীয়রা তাকে কুমিল্লার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে সোমবার সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে সোমবার ভোরে মারা যান গাজীপুরে অগ্নিদগ্ধ নজরুল ইসলাম। হরতালের দ্বিতীয় দিনে ১৯ সেপ্টেম্বর গাজীপুর সদর উপজেলার ভোগড়া এলাকার বর্ষা সিনেমা হলের সামনে ভিআইপি পরিবহনে শিবির কর্মীরা কেরোসিন ও পেট্রোল ঢেলে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বাসচালক নজরুল ইসলাম আগ্নিদগ্ধ হন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল।
এর আগে রবিবার বিকেলে মারা যান বগুড়ায় দগ্ধ ট্রাক চালক শামসুল হক।হরতালের প্রথম দিন বুধবার রাতে সার বোঝাই ট্রাক নিয়ে ঢাকা থেকে বগুড়া যাওয়ার পথে শেরপুরের দশ মাইলের ঈদগাহ মাঠের কাছে পিকেটারদের হামলার শিকার হন তিনি। হরতালকারীরা পেট্রোলভর্তি প্লাস্টিকের বোতলে আগুন দিয়ে ছুড়ে মারলে শামসুল হকের পোশাক ও ট্রাকের ইঞ্জিন কেবিনে আগুন ধরে যায়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিত্সাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর সারা দেশে হরতাল ডাকে দলটি।