সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে রাজাকার পরিবার বলায় একরাম চৌধুরীকে বহিষ্কারের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ, সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে রাজাকার পরিবার বলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য একরাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। এছাড়া একরাম চৌধুরীকে বহিষ্কারের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার রূপালী চত্বরে এ প্রতিবাদ সভা সমাবেশ শেষে অনশন শুরু করেন তিনি। প্রতিবাদ সমাবেশে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, একরাম চৌধুরীকে প্রমাণ করতে হবে যে, আমরা রাজাকার পরিবারের সন্তান। প্রমাণ করতে না পারলে জনগণের আদালতের তার বিচার হবে। যে নেতা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুইবার সভাপতি ছিলেন, দুইবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন, যে নেতা দলের জন্য জীবন যৌবন বিলিয়ে দিয়েছেন। ঢাকার ছোট্ট একটা ম্যাচে থেকে রাজনীতি করেছেন, যে নেতার নিজের বাড়িতে একটি ঘর নেই, সে নেতার বিরুদ্ধে নোয়াখালীর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সেøাগান দেয়। তিনি বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই একরাম চৌধুরীকে সামলান। না সামলালে আপনার সব অর্জন ধ্বংস করে দিবে।
আমি আজ এ সমাবেশ থেকে আমার নেতা ওবায়দুল কাদেরকে বলতে চাই আপনারা এ মুহূর্তে একরাম চৌধুরীকে বহিষ্কার করুন। একরাম চৌধুরীকে বহিষ্কারের দাবিতে এবং নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দেয়ার দাবিতে আমি এখন থেকে বসুরহাটে বঙ্গবন্ধু চত্বরে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান ধর্মঘট পালন শুরু করলাম।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের সভাপতিত্বে এবং পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক, আজম পাশা চৌধুরী রুমেলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী, বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা আইয়ুব আলী, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম তানভীর, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রভাষক গোলাম ছারওয়ার, সম্পাদক লুৎফুর রহমান মিন্টু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন মুন্না প্রমুখ। এদিকে নোয়াখালী জেলা শহরেও একরাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।