‘স্মার্ট পথচারী পারাপার’!
স্রেফ রাস্তা পারাপারের জন্য মহানগরীগুলোতে জীবন দিতে হচ্ছে বহু মানুষকে। আর পঙ্গুত্ব বরণ করার কারণে অনেক মানুষের কাছেই রাস্তার আরেক নাম ‘দানব’। তাই নগরীগুলোতে নিরাপদে রাস্তা পারাপারের জন্য ‘পেডেস্ট্রিয়ান ক্রসিং’, ‘জেব্রা ক্রসিং’ এবং নিত্যনতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছেন ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা। কিন্তু মানুষের ঝুঁকি নেওয়ার স্বভাবের কারণে কোনো ট্রাফিক ব্যবস্থাকেই যথেষ্ট পরিমাণে নিরাপদ করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় এবার ‘স্মার্ট পথচারী পারাপার’ নামে স্বয়ংক্রিয় সেন্সরযুক্ত একটি প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হতে যাচ্ছে।
বিশ্বে প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে আগামী গ্রীষ্মে স্মার্ট পথচারী পারাপারের (স্মার্ট পেডেস্ট্রিয়ান ক্রসিং) প্রযুক্তিটির পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হচ্ছে। আবিষ্কারকরা এর নাম দিয়েছেন ‘পেডিস্ট্রিয়ান স্কুট’। লন্ডন, বেইজিংসহ বিশ্বের ব্যস্ততম অনেক মহানগরীতে স্কুট ট্রাফিক পদ্ধতি চালু থাকলেও পেডেস্ট্রিয়ান স্কুট পদ্ধতি এবারই প্রথম। নগরীর যেসব এলাকায় পথচারীদের ভিড় বেশি, কেবল সেখানেই এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের ব্যালহামের রাস্তায় নতুন পথচারী পারাপার সেন্সরটি চালু হবে। এতে ভিডিও ক্যামেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, যাতে সেন্সরের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বলে দেওয়া হবে, ঠিক কী পরিমাণ পথচারী রাস্তা পারাপারের অপেক্ষায় আছে। এ বার্তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাফিক সিগন্যালও স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হয়ে যাবে যে ওই পরিমাণ পথচারীর জন্য ঠিক কতটুকু সময় সিগন্যাল চালু রাখতে হবে। এর ফলে ভিড় বেশি হলে লম্বা সময় নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে পারবে পথচারীরা। তবে সেটা অনেক ক্ষেত্রে গাড়িচালকদের জন্য বিরক্তিকর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে প্রযুক্তিটির উদ্দেশ্য কেবলই পথচারীদের নিরাপত্তা। এ ছাড়া রাস্তা পারাপারের সময় দুই দিক থেকে মানুষ দ্রুত পার হতে গিয়ে একজন আরেকজনের ওপর পড়ে গিয়ে নানা দুর্ঘটনারও নজির আছে। সে রকম পরিস্থিতিতে সময় দেওয়ার বার্তাও দেবে নতুন প্রযুক্তিটি।
এ ব্যাপারে লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন বলেন, ‘বিশ্বে প্রথমবারের মতো লন্ডনে এ অত্যাধুনিক প্রযুক্তিটি ব্যবহারের জন্য আমি খুবই উৎফুল্ল। এটা প্রকৃতপক্ষেই দারুণ একটি উদাহরণ যে প্রযুক্তিটি একুশ শতকে লন্ডনে কিভাবে মানুষের নিরাপদ রাস্তা পারাপারকে সহজ করতে যাচ্ছে।’ সূত্র : ডেইলি মেইল অনলাইন।