স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান তারেক রহমানের
স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য অপরিসীম। সুতরাং আজকের এ মহান দিনে আমি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।
তিনি বলেন, ২৪শে জানুয়ারি আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৬৯ সালের এ দিনে তদানীন্তন পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। গণআন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে তা গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত হয়েছিল। পতন নিশ্চিত হয়েছিল সামরিক স্বৈরশাসকের।
তারেক রহমান বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় প্রশস্ত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ। গণ-অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্যই ছিল স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন, বহুদলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম, বহুমত এবং চিন্তার চর্চা ও মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা ফিরে পাওয়া।
অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৬৯ সালের এই দিনে ছাত্র-জনতার দৃঢ় ঐক্য দীর্ঘ আন্দোলনকে গণ-অভ্যুত্থানে রূপ দিয়েছিল। স্বৈরশাসনের পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছিল। দেশের গণতন্ত্র ও নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুরক্ষায় গণ-অভ্যুত্থান দিবস আমাদের প্রেরণার উৎস।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ দিবস আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধিকার অর্জনের চেতনাকে শানিত করে এবং সকল অন্যায় অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে আজও অনুপ্রেরণা জোগায়। আমি ঊনসত্তরের গণআন্দোলনসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।