সৌদি আরবে প্রচণ্ড হামলা

12/04/2018 11:22 amViews: 6

সৌদি আরবে প্রচণ্ড হামলা

 

সৌদি আরবে প্রচণ্ড হামলাসৌদি আরবে প্রচণ্ড হামলা

 

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের হাউছি বিদ্রোহীগোষ্ঠী। বুধবার গোষ্ঠীটির পরিচালিত টেলিভিশন আল মাসিরাহ চ্যানেলের টুইটার অ্যাকাউন্টে দাবিটি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘জিজানে এরামকোর ওপর কাসিফ-১ এয়ারক্রাফট দিয়ে বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে বিমান বাহিনী।’ হাউছিদের এই দাবির পর এক বিবৃতিতে সৌদি এরামকো জানিয়েছে, দণিাঞ্চলীয় প্রদেশ জিজানে তাদের স্থাপনাগুলোর কার্যক্রম ‘স্বাভাবিকভাবে ও নিরাপদে’ চলছে। আরামকোর বিবৃতিতে হাউছিদের দাবিকৃত ড্রোন হামলার বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি।

সিরিয়া বিষয়ে সমঝোতামূলক খসড়া প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে নাকচ
সিরিয়ার দৌমাতে রাসায়নিক অস্ত্র হামলার ব্যাপারে একটি সমঝোতামূলক খসড়া প্রস্তাব জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে নাকচ হয়েছে।

মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে সুইডেন আর তা সমর্থন করেছিলো রাশিয়া, সুইডেনসহ পাঁচ সদস্য দেশ।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ ৪টি দেশ প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দিলে তা বাতিল হয়ে যায়। আরো ছয় দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
খবর তাস এর।
জাতিসঙ্ঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নিবেনজা বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে সমঝোতামূলক প্রস্তাবটি নাকচ করার ঘটনাটি দুঃখজনক ও হতাশাজনক।

কাতারের আমিরকে স্বাগত জানালেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে কাতারের আমিরকে স্বাগত জানিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন নিয়ে তার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার মাত্র এক বছরের মাথায় তাকে স্বাগত জানালেন তিনি। খবর এএফপি’র।

ট্রাম্প আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘তিনি আমার বন্ধু এবং পুরোদস্তুর একজন ভদ্রলোক।’
পরে হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ দুই নেতা নতুন বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার যৌথ প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেন। আর এই বাণিজ্য চুক্তির আওতায় ৫০ হাজারের বেশী মার্কিন নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তারা সিরিয়া এবং সেখানে ইরান ও রাশিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন।

বিবৃতিতে নতুন এ বাণিজ্য চুক্তি কি ধরণের সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, এক বছর আগেও কাতারের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। কাতারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব-আমিরাতের নেতৃত্বকে সমর্থন জানিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, কাতারকে ইরানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে।

ট্রাম্প প্রাথমিকভাবে কাতারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন জানিয়েছিল। কিন্তু পরে মার্কিন মিত্ররা দোহার বাইরে আল ইউদিদ বিমান ঘাঁটির কথা ট্রাম্পকে স্মরণ করিয়ে কাতারের প্রতি আরো উদার হওয়ার কথা বলেন। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে এই বিমান ঘাঁটির ভূমিকা ছিল মূখ্য।

এদিকে হোয়াইট হাউসে কাতারের আমির বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ট্রাম্প জোরালোভাবে আমাদের পক্ষে ছিলেন। এভাবে সমর্থন জানানোয় আমেরিকার জনগণকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
ট্রাম্প কাতারের সামরিক অস্ত্র ক্রয়ের প্রশংসা করে বলেন, তারা আমাদের কাছ থেকে প্রচুর সামরিক সরঞ্জামাদি ক্রয় করেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের মধ্যে পুনরায় ঐক্য গড়ে তোলার প্রধান বাধা নিয়েও এ দুই নেতা আলোচনা করেন।

Leave a Reply