সৌদি আরবের পর কাতারের সাথে পুনর্মিলন চুক্তি স্বাক্ষর করল মিসর
সৌদি আরবের পর কাতারের সাথে পুনর্মিলন চুক্তি স্বাক্ষর করল মিসর
উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের (জিসিসি) ৪১তম বার্ষিক সম্মেলনে মঙ্গলবার সৌদি আরবের পর কাতারের সাথে পুনর্মিলন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মিসর। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ খবর জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, মিসর ‘আরবের চার দেশ ও কাতারের মধ্যে পুনর্মিলনের সব আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করছে’। এতে বলা হয়, চুক্তিটি আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় আরবকে একীভূত করবে। আরব ও কাতারের মধ্যে পুনর্মিলনের জন্য বিশেষত কুয়েতের প্রচেষ্টার প্রশংসা করছে দেশটি।
সৌদি আরবের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় আল-উলা শহরে মঙ্গলবার জিসিসির এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে পুনর্মিলনের এক আবহ তৈরি হয়, যার নেতৃত্ব দেয় রিয়াদ।
প্রায় সাড়ে তিন বছর পর মঙ্গলবার জিসিসির বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। সৌদি আরবে পৌঁছালে বিমানবন্দরে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
সম্মেলনে ‘সংহতি ও স্থিতিশীলতা’ চুক্তি স্বাক্ষরের পর সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সৌদি আরব ও তার তিন আরব মিত্র কাতারের সাথে সম্পর্ক পুরোপুরি পুনরুদ্ধারে সম্মত হয়েছে।
জিসিসির মহাসচিব নায়েফ ফালাহ আল-হাজরাফ বলেন, পঞ্চম দশকে প্রবেশ করে ৪১তম সম্মেলনে জিসিসি নতুন একটি অধ্যায়ে প্রবেশ করছে।
সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতা ও ইরানের সাথে ঘনিষ্ট মিত্রতার অভিযোগ এনে ২০১৭ সালের জুনে সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত জোট কাতারের উপর কূটনীতিক, বাণিজ্যিক ও ভ্রমণের অবরোধ আরোপ করেছিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, কাতার তিন বছরের বেশি সময়ের অবরোধে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা অনেকটা সফলভাবেই মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।
সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব দেশগুলোর এ সিদ্ধান্ত উপসাগরীয় সমস্যা সমাধানে যদিও এক বড় মাইলফলক, তবে পুরোপুরি পুনর্মিলন নিশ্চিত হতে এখনো অনেক পথ বাকি। বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারের মধ্যে তীব্র আদর্শিক মতবিরোধের ফলে আবুধাবি ও দোহার দ্বন্ধ এখনো অনেক গভীর।
সূত্র : আলজাজিরা,