সোনার দাম আরেক দফা কমেছে
আন্তর্জাতিক বাজারে দরপতন এবং বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিক্রি কমে যাওয়ায় দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
বুধবার বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে ১৫ নভেম্বর সোনার দাম কমানো হয়েছিল। তারও আগে ১৫ সেপ্টেম্বরও একবার দাম কমানো হয়েছিল।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার দর, সরবরাহ ও চাহিদা- এই তিনটি বিষয় বিবেচনায় রেখে তারা স্থানীয় বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করে থাকেন।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজার নিম্নমুখী হওয়ায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি বলে জানান তিনি।
চাহিদা কম কেন- এ প্রশ্নের উত্তরে শাহীন বলেন, “অবরোধ-হরতালসহ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দোকানপাট বন্ধ থাকে। ডিসেম্বর মাস ভালো (বিয়ের) মৌসুম হওয়ার পরও মানুষ বিলাসবহুল পণ্য সোনা কিনছে না। বিক্রি নেই বললেই চলে।
“বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিয়ের মৌসুমেও বিয়ে-শাদি কম হচ্ছে। তাই সোনার চাহিদাও কম। এসব বিষয় বিবেচনা করে সোনার দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।”
বাজুস ভালো মানের সোনার দাম প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪৫৮ টাকা পর্যন্ত কমিয়েছে।নতুন দর অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট সোনা ৪৬ হাজার ৯৪৭ টাকা, ২১ ক্যারেট ৪৪ হাজার ৮৪৮ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের দাম হবে ৩৮ হাজার ৪৩২ টাকা।
এছাড়া সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ হাজার ২৪৪ টাকা। পাশাপাশি প্রতি ভরি ২১ ক্যারেট (ক্যাডমিয়াম) রুপার দাম ১ হাজার ২২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনার দাম ছিল ৪৮ হাজার ৪০৫ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেট সোনা প্রতি ভরির দাম ৪৬ হাজার ২৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৩৯ হাজার ৬৫৭ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির দাম ২৭ হাজার ৪১০ টাকা ছিল। এ ছাড়া প্রতি ভরি ২১ ক্যারেট (ক্যাডমিয়াম) রুপার দাম ছিল এক হাজার ২৮৩ টাকা।