সেপ্টেম্বর থেকে লোডশেডিং কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
সেপ্টেম্বর থেকে লোডশেডিং কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
আগামী সেপ্টেম্বর থেকে লোডশেডিং কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রোববার বিদ্যুৎ ভবনে শিল্পকারখানার মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামনের মাস থেকে বিদ্যুৎ বিভাগ চিন্তা করছে, আস্তে-আস্তে লোডশেডিং থেকে বেরিয়ে আসার জন্য। আমরা মনে করছি, আগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থা হবে। আগামী মাস থেকে আমার মনে হয় বিদ্যুৎ বিভাগ অন্তত অর্ধেকের বেশি লোডশেডিং থেকে বেরিয়ে আসবে।
এটি কীভাবে সম্ভব হবে? সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, উৎপাদন বাড়িয়ে। আমরা আস্তে-আস্তে আমাদের গ্যাসের পরিমাণ বাড়িয়ে নিয়ে আসব, কিছুটা ব্যালেন্স করার চেষ্টা করব। ব্যালেন্স করে হয়তো অক্টোবর থেকে আমরা পুরোপুরি আগের অবস্থায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দিকে যেতে পারব। এজন্য আমি সবাইকে অনুরোধ করব, সবাই যেন একটু ধৈর্য ধরেন।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসার কারণ হলো তারা কীভাবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে পারে এবং লোডশেডিং কোথায় কতটুকু হচ্ছে, তাদের কাছ থেকে একটু মতামত নেয়া।
এখন শিল্পাঞ্চলে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি কার্যকর আছে। একদিনে সব এলাকায় ছুটি না দিয়ে, যদি রেশনিংয়ের মাধ্যমে একেক দিন একেক এলাকায় ছুটি চালু করা যায় তাহলে বিদ্যুতের কিছুটা সাশ্রয় হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যেমন গাজীপুর শুক্রবার বন্ধ থাকল, বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ বন্ধ থাকল। এভাবে যদি করা হয় তাহলে ৫০০ থেকে ৫৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের মধ্যে আনা যাবে। এটা আগেও ছিল। এতে তিনটা জিনিস লাভ হবে।
বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, গ্যাস সাশ্রয় হবে এবং ট্রাফিকের ক্ষেত্রেও সাশ্রয় হবে। এটাই আলোচনা হয়েছে এবং সবাই খুশি আছে, কোনো সমস্যা নেই।
পরে এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে ৪৯০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ দৈনিক সাশ্রয় হবে। আমরা বলেছি কেবল ঢাকাভিত্তিক নয়, সারা দেশেই যেন এরকম ছুটি কার্যকর করা হয়।
বিকেএমইএর সহসভাপতি ফজলে শামীম আহসান জানান, একসময় যখন নিয়মিত লোডশেডিং হতো তখন এ ধরনের একটি ছুটির ব্যবস্থা চালু ছিল। আমরা বলেছি, প্রয়োজনে সে ধরনের সূচি আবার চালু করা হোক। ডায়িং ও স্পিনিং ফ্যাক্টরিকে কিছুটা ছাড় দেয়া যায় কি না, সেই প্রস্তাব আমরা করেছি।