সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না: বুলু
রংপুর সিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্তের বিষয়টি উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছন, বাংলাদেশের মানুষ ভোট চোরদের আর দেখতে চায় না। বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। এই কারণে মামলা দিয়ে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মানুষ দেখতে চায় একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। কোন তাবেদার রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে দেখতে চায় না। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনের তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ফোরাম এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে বরকাত উল্লাহ বুলু বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ ডিসেম্বর রাতে করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রয়েছেন। আজকে এই অবৈধ সরকারকে বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায় না। আজকে আপনি বাঘের পিঠে সওয়ার হয়েছেন। বাঘের পিঠ থেকে নামতে হলে একটি রাস্তা আছে।
তিনি বলেন, আজকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে, যুক্তরাজ্য থেকে, জাতিসংঘ থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। বাংলাদেশের ভোটের অধিকার নেই। বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচতে হলে তাদের ভোটের অধিকার দিতে হবে, ডিজিটাল কালা-কানুন আইন প্রত্যাহার করতে হবে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজকে যে আন্দোলন এটা জনতার আন্দোলন। মানুষ বাঁচতে চায়। এটা বিএনপির আন্দোলন নয়, এটা ১৮ কোটি জনতার আন্দোলন। সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের পতন ঘটবে এবং বাংলাদেশ একটি নতুন সূর্য উদিত হবে।
আগামী দিনে আমরা যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারি, তাহলে যারা আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে তারা যতই ক্ষুদ্র দল হোক না কেন তাদের সকলকে নিয়েই একটি জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। এই জাতীয় সরকার রাষ্ট্র মেরামত করে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সমৃদ্ধশালী স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র তৈরি করতে চাই।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করে বুলু বলেছেন, বিদ্যুতের যে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে তা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। প্রত্যাহার করা না হলে সমস্ত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলবো এবং বিদ্যুতের বিল বন্ধ করে দেব। বিদ্যুৎ বিল দেব না।
গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি খলিলুর রহমানের (ভিপি ইব্রাহিম) সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, গণতন্ত্র ফোরামের তারেক মুন্সি, জাহাঙ্গীর আলম, ইসমাইল হোসেন খোকন, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, সুজন, আমিনুর রহমান, হারুন অর রশিদ, আব্দুল্লাহ আল নাঈম, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।