এর আগে প্রথম দফায় ৭০ বাংলাদেশি নাগরিককে নিয়ে সৌদি এয়ারফোর্সের বিশেষ ফ্লাইট রোববার দুপুরে পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এদের মধ্যে নারী, শিশু ও অসুস্থ যাত্রীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় বিকালে সৌদি এয়ারফোর্সের আরেকটি বিশেষ ফ্লাইট ৬৫ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে জেদ্দায় পৌঁছায়। গত ৩ মে সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে ৬৭৫ বাংলাদেশিকে নিরাপদে পোর্ট সুদানে নেওয়া হয়। দুই দফায় মোট ১৩টি বা‌সে ক‌রে তাদের সেখানে নেওয়া হয়। রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, সুদানে প্রায় এক হাজার পাঁচশ বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করছেন। এদের মধ্যে যারা দেশে আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট এ ব্যাপারে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

সুদান থেকে বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাভেল পারমিট ইস্যু ও জাহাজের শিডিউল পেতে দেরি হওয়ায় পোর্ট সুদান থেকে বাংলাদেশিদের জেদ্দায় নিতে কিছুটা সময় লাগছে। তবে বাকিদেরও দেশে ফেরানোর প্রচেষ্ঠা চলমান আছে। সুদানে প্রায় দেড় হাজারের মতো বাংলাদেশি রয়েছেন। এরমধ্যে রাজধানী খার্তুমেই প্রায় ১ হাজার ২০০ বাংলাদেশির বাস। যুদ্ধকালীন প্রায় ৭০০ বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরমধ্যে আটকে পড়া ৬৭৫ জন বাংলাদেশিকে গত ৩ মে খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে আনা হয়। আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম দেশ সুদানে গত এপ্রিলের মাঝ সময় থেকে দেশটির সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে লড়াই চলছে। এতে এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক লোকের প্রাণ হারানোর কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।