সীমান্ত চুক্তির দলিল বিনিময়ের পর বৈঠকে মোদি-হাসিনা

06/06/2015 6:12 pmViews: 10
সীমান্ত চুক্তির দলিল বিনিময়ের পর বৈঠকে মোদি-হাসিনা

 ০৬ জুন, ২০১৫

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চলছে। শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠকের আগে দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের প্রটোকল স্বাক্ষর এবং সম্মতিপত্র বিনিময় করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর এ স্বাক্ষর করেন। এ দলিল বিনিময়ের ফলে চার দশক আগের মুজিব-ইন্দিরা স্থল সীমানা চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হলো।

এদিকে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে হোটেল র‌্যাডিসনে ফিরে গেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

শনিবার বিকাল পৌণে ৪টার দিকে বৈঠকে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপস্থিত হন নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে স্বাগত জানান।

শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা কক্ষে ছিটমহল বিনিময়ে স্থল সীমান্ত চুক্তির অনুসমর্থনের দলিল বিনিময়ের সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন। দলিল বিনিময়ের এই মূহূর্তটিকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ এক টুইটে বলেছেন, এই মাহেন্দ্রক্ষণটিকে শুধু ঐতিহাসিক বললেও কম বলা হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১১টি ছিটমহল রয়েছে, এতে রয়েছে ৩৭ হাজার মানুষের বাস। অন্যদিকে ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের বাসিন্দা ১৪ হাজার। ২০১১ সালে দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে শুমারিতে এই তথ্য পাওয়া যায়।

ভারতের ভেতরে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের আয়তন মোট ৭ হাজার ১১০ একর; অন্যদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১১টি ছিটমহলের আয়তন ১৭ হাজার ১৬০ একর।

ছিটমহল বিনিময়ের ফলে ভারত যে প্রায় ১০ হাজার একর জমি বেশি হারাবে, সে জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ পাবে না বলে প্রটোকলে উল্লেখ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে লালমনিরহাট জেলায় ৫৯টি, পঞ্চগড় জেলায় ৩৬টি, কুড়িগ্রাম জেলায় ১২টি, নীলফামারী জেলায় ৪টি ভারতীয় ছিটমহল রয়েছে।

প্রটোকলের আওতায় অপদখলীয় ভূমি নিয়ে বিরোধের অবসানও ঘটবে। এতে ভারত অপদখলীয় ২৭৭৭ একর জমির মালিকানা পাবে। আর ২২৬৭ একর জমির উপর বাংলাদেশের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হবে। আর চুক্তি ও প্রটোকল অনুযায়ী ছিটমহলবাসী তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী নাগরিকত্ব বেছে নিতে পারবেন।

Leave a Reply