সিরিজ জয় ছাড়া আর কিছু ভাবছি না
১৫ জুলাই, ২০১৫
সিরিজ জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবছে না টাইগাররা। মঙ্গলবার অনুশীলন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান সে কথাই জানালেন।
প্রশ্ন : সিরিজে এ মুহূর্তে কে ফেভারিট?
সাকিব : সিরিজের এ পর্যায়ে এসে কেউই ফেভারিট নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা নিশ্চিয় অনেক বড় দল। তবে আমরা তাদের ছাড় দেব না। জয়ের জন্যই মাঠে নামব। দু’দলের ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা তাদের আগে কোনো সিরিজ হারাতে পারিনি। এটাই বড় সুযোগ।
প্রশ্ন : কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ?
সাকিব : সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সব ম্যাচেই জেতার জন্য মাঠে নামি। হয়তো তা হয়ে ওঠে না। সিরিজের এ পর্যায়ে এসে কালকের (আজ) ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেহেতু এটি সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। যদি আমরা ভালো খেলতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য তা বড় প্রাপ্তি হবে। কয়েক মাস ধরে আমরা ঘরের মাঠে কোনো সিরিজই হারিনি। ম্যাচটি এত বড় না হলেও কিন্তু আমাদের সামনে তাদের বিরুদ্ধে জেতার সুযোগটা বড় বলে মনে হচ্ছে।’
প্রশ্ন : দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর এটাই
কি বড় সুযোগ?
সাকিব : ‘দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো বড় ব্যাপার। এর আগে তাদের কখনও হারাতে পারিনি। গত ম্যাচে তাদের হারিয়েছি। আশা করছি, আগামীকালও (আজ) তাদের হারানোর সুযোগটি কাজে লাগাব। এটা হলে তা হবে আমাদের জন্য বড় সুযোগ।
প্রশ্ন : প্রথম ম্যাচ হারার পর কেমন মোটিভেশন কাজ করেছে?
সাকিব : প্রথম ম্যাচে হারার পর আমাদের মধ্যে তেমন কোনো মোটিভেশন বা বাড়তি কিছু কাজ করেনি। সিরিজে টিকে থাকার জন্য দলের সবাই চেষ্টা করেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা সেটি পেরেছি। এখন যেহেতু তৃতীয় ম্যাচটাই ফাইনাল। দলের সবাই চাইবে সেটিতে জয়ী হয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিতে। সিরিজ জিততে হলে তো যে কোনো এক দলকেই দুই ম্যাচে জিততে হবে। সেটি যে কেউ জিততে পারে।’
প্রশ্ন : নিজের পারফরম্যান্স সম্পর্কে বলুন।
সাকিব : দলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাটে-বলে অবদান রাখছি। আগের ম্যাচে আমার মতো করে বল করতে পেরেছি। চেষ্টা করছি দলকে ভালো সার্ভিস দিতে। হয়তো বিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানরা আমাকে সাবধানে খেলছে বলে আমি উইকেট পাচ্ছি না। ওয়ানডে ম্যাচে উইকেট পাওয়াটা কষ্টকর। সেখানে ভাগ্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে। উইকেট পেলে ভালো লাগত। এরপরও আমি এই পারফরম্যান্সে খুশি।
প্রশ্ন : চট্টগ্রামে প্রোটিয়ারা কেমন করবে বলে
মনে করেন?
সাকিব : চট্টগ্রামে গরমটা তাদের তেমন বেশি ভোগাবে বলে মনে হয় না। তারা এর আগেও অনেক দেশে এই কন্ডিশনে খেলে এসেছে। হয়তো তারা সেটি মানিয়ে নিতে পারবে।
প্রশ্ন : কত রান করলে নিরাপদ বলে মনে করেন?
সাকিব : উইকেট না দেখে কতটা স্কোর করলে নিরাপদ, বলা মুশকিল। তারা যে ২৫০ রানকে নিরাপদ স্কোর বলছে সেটি নির্ভর করবে আসলে বিপক্ষ দলের বোলিং ও ব্যাটিংয়ের ওপর।
প্রশ্ন : সিরিজ জয় করে ঈদের উপহার দিতে চান?
সাকিব : সিরিজ জিতে দেশবাসীকে ঈদের উপহার দেয়া বা এ ধরনের কিছু আমার মাথায় নেই। অন্যদের আছে কিনা আমি জানি না। তবে আমরা ম্যাচটি জিততে চাই। এটি হলে আমাদের সবার জন্য খুশির খবর হবে।
প্রশ্ন : চট্টগ্রাম বাংলাদেশের লাকি ভেন্যু, তবে কি বরাবরের মতো এ ভেন্যুতেই সিরিজ জয় হতে যাচ্ছে?
সাকিব : আগের ম্যাচগুলোতে আমরা হারলেও এখন জেতার মধ্যে এসে চট্টগ্রামে খেলতে নামব। হয়তো এখন চট্টগ্রামই চাপে রয়েছে! আসলে আমরা এভাবে কখনও চিন্তা করি না। বাংলাদেশের সব মাঠই আমাদের হোম গ্রাউন্ড। আমরা সব মাঠেই জিতেছি। আসলে জিততে হলে মাঠেই ভালো খেলতে হবে।
প্রশ্ন : একাদশে পরিবর্তন আসবে কি?
সাকিব : তেমন কোনো পরিবর্তনের কথা আমি জানি না। সে ধরনের কোনো পরিবর্তন হবে
বলে মনে হয় না।
প্রশ্ন : এক ম্যাচ জিতেই কি সাকিবদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে?
সাকিব : আসলে এক ম্যাচ হারলে কিংবা জিতলেই যে আত্মবিশ্বাস তলানিতে যাওয়া কিংবা উপরে ওঠা, সেটি ঠিক না। আমাদের যে সামর্থ্য আছে, আমরা চাইলে ঘরের মাঠে যে কোনো দলের বিরুদ্ধে জিততে পারব। সবকিছু ঠিকমতো হলে আমাদের পক্ষে রেজাল্ট আসা সম্ভব।
প্রশ্ন : দলে নতুনদের ব্যাপারে বলুন।
সাকিব : দলের নতুন পারফরমাররা এখনও নতুন। হয়তো দলে রয়েছে। তাই তারা আরও ভালো করার সাহস পাচ্ছে। সিনিয়রদের কাছ থেকে উৎসাহ পাচ্ছে। দলগত পারফরম্যান্সেই আমরা ভালো করছি।