সিরাজ মাস্টারের ফাঁসি ও খান অাকরামের আমৃত্যু করাদন্ডের আদেশ

11/08/2015 12:52 pmViews: 9
সিরাজ মাস্টারের ফাঁসি ও খান অাকরামের আমৃত্যু করাদন্ডের আদেশ

যুদ্ধারপরাধ মামলায় বাগেরহাটের শেখ সিরাজুল হক ওরফে সিরাজ মাস্টারকে মৃত্যুদন্ড এবং খান আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে আমৃত্যু কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় বাগেরহাটে হত্যা, গণহত্যা ও লুণ্ঠনসহ মোট সাতটি অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে সিরাজ মাস্টারের বিরুদ্ধে আনিত ৬টি অভিযোগের সবকটি এবং খান আকরামের বিরুদ্ধে একমাত্র অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণা কালে সিরাজ মাস্টার ও খান আকরামকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বহু প্রতীক্ষিত বিচার শুরুর পর এটি একবিংশতম রায়।

দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে আদালত ২৩ জুন মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রেখেছিল। এরপর গত সপ্তাহে আদালত রায়ের জন্য ১১ আগস্ট দিন ঠিক করে দেয়।

সিরাজুল হক ও খান আকরাম হোসেনের সঙ্গে আবদুল লতিফ তালুকদার (৭৫) নামে একাত্তরের আরেক রাজাকার সদস্যের বিচার চলে এ মামলায়। কিন্তু রায়ের আগেই ২৭ জুলাই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় তার মৃত্যু হওয়ায় গত ৫ আগস্ট আদালত মামলা থেকে তার নাম বাদ দেয়।

গত বছর ৫ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই তিন আসামির যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল। ২ ডিসেম্বর প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।

২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত সিরাজ, লতিফ ও আকরামের বিরুদ্ধে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনসহ মোট ৩২ জন সাক্ষ্য দেন। এরপর গত ৬, ৭ ও ২১ এপ্রিল আসামিদের পক্ষে পাঁচজন সাফাই সাক্ষ্য দেন। এরা হলেন- মো. আমজাদ শেখ, সরদার আবদুল মান্নান, আবদুর রশিদ মল্লিক, ইউসুফ আলী দিহিদার ও মো. ফেরদৌস খান।

এরপর ১৫ জুন প্রসিকিউটর সৈয়দ সাইয়্যেদুল হক সুমন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। আসামি লতিফ তালুকদার অসুস্থ হয়ে পড়লে যুক্তিতর্ক স্থগিত করে আদালত। পরে ১৭ জুন সুমন যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। আসামি আবদুল লতিফ তালুকদার ও আকরাম হোসেন খানের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন যুক্তি উপস্থাপন করেন ১৮ জুন। ২১ জুন যুক্তি উপস্থাপন করেন সিরাজ মাস্টারের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবুল হাসান। এই আসামি আর্থিক অসঙ্গতির কথা বলায় আদালত তার মামলা লড়তে আইনজীবী নিয়োগ দেয়।

দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বিচারিক কার্যক্রম শেষ হওয়ায় মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে।

Leave a Reply