সিটিতে বিধ্বস্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
ইনজুরির কারণে আজ লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে মাঠে নামতে পারেননি রবিন ভন পার্সি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও বেশ ভালোমতোই টের পেয়েছে ডাচ স্ট্রাইকারের অভাবটা। প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ভীতি ছড়ানোর মতো মুহূর্ত খুব কমই এসেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। বরং নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিই ছিল বেশি ভীতিকর। ১৬ মিনিটের মাথায় ম্যাচের প্রথম গোলটি গোলটি এসেছে সার্জিও অ্যাগুয়েরোর পা থেকে। আলেক্সান্ডার কোলারোভের নিচু একটি ক্রস থেকে চমত্কারভাবে জালে বল জড়িয়েছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। প্রথমার্ধের একেবারে শেষমুহূর্তে ব্যবধান দ্বিগুন করেছেন ইয়া তোরে। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে হয়তো ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন ডেভিড ময়েসের শিষ্যরা। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই হার নিশ্চিত হয়ে যায় গতবারের শিরোপাজয়ীদের। ৪৭ মিনিটের মাথায় নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন অ্যাগুয়েরো। পরমুহূর্তেই আবারও বল জড়ায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জালে। ৪-০। এবারের গোলদাতা নাসরি। নিশ্চিতই হয়ে যায় নিজেদের মাঠে ম্যানচেস্টার সিটির গুরুত্বপূর্ণ জয়টা।
৫৫ মিনিটের মাথায় একটি গোল শোধ করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন রুনি। গোলপোস্টের ভেতরে একদম ফাঁকায় বল পেয়েও সেটা পোস্টের উপর দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেন এই ইংলিশ তারকা। ৬৭ মিনিটে প্রথমবারের মতো ম্যানচেস্টার সিটির গোলপোস্টে একটি শট নিয়েছিলেন ফেলিইনি। কিন্তু সেটা দুর্দান্ত দক্ষতায় রুখে দেন সিটির গোলরক্ষক জো হার্ট। ৭৯ মিনিটে প্যাট্রিক ইভরার একটি হেডও ফিরে আসে প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে লেগে। ৮৭ মিনিটে অবশেষে একটি গোল অন্তত শোধ করতে সক্ষম হন রুনি। দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিক থেকে বল জড়ান ম্যানচেস্টার সিটির জালে।