সালাহউদ্দিন কাদেরের আপিলের তৃতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত
সালাহউদ্দিন কাদেরের আপিলের তৃতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত
২১ জুন ২০১৫,রবিবার
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর খালাস চেয়ে দায়ের করা আপিল আবেদনের তৃতীয় দিনের শুনানি গ্রহণ করেছেন সুপ্রিম কোটের আপিল বিভাগ।
আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চে এ শুনানি গ্রহণ করেন। বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
শুনানির সময় আদালতে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, এসএম শাহজাহান ও তানভির আহমেদ আল-আমীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আজ শুনানিতে এস এম শাহজাহান সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনা অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা সংক্রান্ত তৃতীয় অভিযোগের সপক্ষে দেয়া রাষ্ট্রপক্ষের চতুর্থ সাক্ষী গৌরাঙ্গ সিংহ এবং পঞ্চম সাক্ষী প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহের সাক্ষ্য ও জেরা উপস্থাপন করেছেন। এরপর তৃতীয় অভিযোগের বাকি অংশের উপর যুক্তি উপস্থাপন করবেন বলে এসএম শাহজাহান জানান।
এর আগে গত বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী এসএম শাহজাহান মামলার পেপারবুক থেকে পড়ে শোনান। গত মঙ্গলবার থেকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিল আবেদনের শুনানি শুরু হয়। ওই দিন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এসএম শাহজাহান শুনানিতে অংশ নেন।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ে তার বিরুদ্ধে আনীত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ৯টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। বাকি ১৪টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। প্রমাণিত অভিযোগগুলো হলো- ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ১৭ ও ১৮ নম্বর। এর মধ্যে ৩, ৫, ৬ এবং ৮ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। আর ২, ৪, ৭ অভিযোগে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া ১৭ এবং ১৮ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। মোট ১ হাজার ৩২৩ পৃষ্ঠার নথিপত্রসহ ২৭টি গ্রাউন্ডে আপিল দায়ের করা হয়।