সালাহউদ্দিনের নতুন শারীরিক সমস্যা ধরা পড়েছে
সালাহউদ্দিনের নতুন শারীরিক সমস্যা ধরা পড়েছে
১ জুলাই ২০১৫
ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে আইনি প্রয়োজনে বসবাসরত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ-উদ্দিনের দেহে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্পাইনাল কর্ডের সমস্যা তাকে এখন বেশ ভোগাচ্ছে। লিভার, হার্ট ও গলব্লাডার স্টোনের পর বিএনপির এ নেতার নতুন শারীরিক সমস্যা দেখা দিলো। এদিকে স্ত্রী হাসিনা আহমেদ বর্তমানে সন্তানদের সময় দিতে ঢাকায় অবস্থান করছেন। ভাতিজা সাফওয়ান গতকাল রাতে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। পরিবারের এ দুই ঘনিষ্ঠ সদস্য বাংলাদেশে অবস্থান করায় ওই শূন্যস্থান পূরণে শিলং গেছেন সালাহউদ্দিনের নির্বাচনী এলাকার তিন একনিষ্ঠ কর্মী। তারাই বিএনপির এ নেতাকে কটেজে থেকে দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন। সালাহউদ্দিনকে দেখাশোনা করছেন। সালাহউদ্দিনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পর মেঘালয়ের শিলং যাবেন সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ ও ভাতিজা সাফওয়ান করিম। এ সময় পর্যন্ত তিন কর্মীই সালাহউদ্দিনকে সঙ্গ দেবেন। তাকে হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাবেন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শিলংয়ের স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে অনেকেই এখন সালাহউদ্দিনকে নানাভাবে সহায়তা দিচ্ছেন। প্রতিদিন তার খোঁজখবর রাখছেন। এর আগে প্রায় দুই মাস নিখোঁজ থাকার পর গত ১১ই মে ভারতের শিলংয়ে উদ্ধার হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধারের পর পুলিশ তাকে আটক করে মানসিক হাসপাতাল মিমহানসে নিয়ে যায়। একদিন পর মিমহানস থেকে আবার তাকে পাঠানো হয় শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালে। ওই হাসপাতালের আন্ডার প্রিজনার সেলে (ইউটিপি) তাকে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। সিভিল হাসপাতালে বিশেষায়িত চিকিৎসাব্যবস্থা না থাকায় তাকে বিশেষায়িত হাসপাতাল নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল সায়েন্সেস (নেগ্রিমস) হাসপাতালে এক সপ্তাহ ধরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। ৩রা মে সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ‘ফরেনার্স অ্যাক্ট-৪৬’-এ করা মামলার চার্জশিট দেয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে মেঘালয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এ চার্জশিট জমা দেয়া হয়। চার্জশিটে ফরেনার্স অ্যাক্টের ১৪ ধারা অনুযায়ী বৈধ ডকুমেন্ট ছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে। নেগ্রিমস থেকে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর ২৭শে মে আদালতে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে ১৪ দিন বিচারিক হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর ৫ই মে শিলংয়ের আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান সালাহউদ্দিন আহমেদ। জামিন পেয়ে শিলংয়ের একটি ছায়াঘেরা কটেজে কাটছে তার দিন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন। তাদের সময় দিচ্ছেন সালাহউদ্দিন। এর বাইরে রোজার সময়ে ইবাদত-বন্দেগি করেই তার দিন কাটছে।