সালাউদ্দিন কাদেরের আপিলের রায় কাল
২৮ জুলাই ২০১৫,মঙ্গলবার
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর করা আপিলের রায় আগামীকাল বুধবার ঘোষণা করবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রায় ঘোষণার আগে আজ রাষ্ট্রপক্ষ আশা প্রকাশ করেছে, আপিলের রায়েও চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকবে। তবে আসামিপক্ষের আশা, মি.চৌধুরী খালাস পাবেন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে গত ৭ জুলাই সালাউদ্দিন কাদেরের করা আপিলের শুনানি শেষ হয়। এ বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আপিল বিভাগে সালাউদ্দিন কাদেরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি খণ্ডন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, ‘অপরাধ সংঘটনের সময় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী দেশে ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল থেকে। আমরা বলেছি, তিনি একাত্তরের ২৯ মার্চ ঢাকা থেকে পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটিতে চলে যান। আমরা এ সংক্রান্ত নথি আদালতে দিয়েছি। আদালত এ বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আমরা আশা করি।’
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সালাউদ্দিন কাদেরকে চারটি অভিযোগে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিলেন। আমরা আশাবাদী, এই আদেশ আপিল বিভাগেও বহাল থাকবে।’
শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে বিচার নিয়ে যে সব শ্লোগান দেয়া হচ্ছে, তা আদালত ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি চরম অবমাননাকর বলে মন্তব্য করেন খন্দকার মাহবুব। তবে এ ধরণের শ্লোগানে কোন আদালত অবমাননা হচ্ছে না বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল-১। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে ও খালাস চেয়ে ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর আপিল করেন চৌধুরী। চারটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেনি।