সাতক্ষীরায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গুলিবিনিময়, ইউপি চেয়ারম্যান নিহত
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১০ নম্বর আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাময়িক বরখাস্ত করা চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম (৪৫) যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গুলিবিনিময়ে নিহত হয়েছে। আজ সোমবার বেলা দেড়টার দিকে কুশখালী ইউপির ভাদরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আনারুল ইসলাম জেলার সদর উপজেলার কাসেমপুর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও লাবসা ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল আলিম জানান, আনারুল ইসলাম আগে বিএনপির সমর্থক ছিলেন। কিছুদিন ধরে তিনি জামায়াতের সঙ্গে চলাফেরা করতেন।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরের ভাষ্যমতে, আজ যৌথ বাহিনী নিয়মিত টহলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুশখালী ইউপির ভাদরা এলাকায় যায়। এ সময় জামায়াত-শিবিরের ৫০-৬০ জন কর্মী তাদের ওপর হামলা চালায়। জামায়াত-শিবির কর্মীরা যৌথ বাহিনীর ওপর ইটপাটকেল, ককটেল ও ছররা গুলি ছোড়ে। এ সময় যৌথ বাহিনী পাল্টা গুলি চালায়। ঘণ্টাব্যাপী গুলিবিনিময়ের পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় যৌথ বাহিনী ভাদড়া বিলের একটি পুকুরের পাশ থেকে আনারুলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাঁকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিত্সক মৃত ঘোষণা করে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পাইপগান ও কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিক থেকে সদর উপজেলার কুশখালী ইউপির ভাদড়া এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী গুলির শব্দ শোনা যায়। পরে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী আগরদাঁড়ি ইউপির আনারুল ইসলাম মারা গেছেন।
আনারুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিত্সক রবিউল ইসলাম।