সাতক্ষীরায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের সাথে দলীয় নেতাকর্মীদের সাক্ষাতকালে নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা ২ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবি নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাধ্যমে জয়লাভ করেন। সোমবার দিনব্যাপী পর্যায়ক্রমে সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যালয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের দলীয় নেতাকর্মীরা সৌজন্য সাক্ষাত ও শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসেন। এসময় নেতাকর্মীরা তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানালে তিনি ফুল না নিয়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, আপনাদের কাছ থেকে ফুল সেদিনই নেবো। যেদিন আপনাদেরকে নতুনভাবে সাতক্ষীরা উপহার দিতে পারবো। জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি সতন্ত্র প্রার্থী ছাইফুল করিম সাবু মীর মোস্তাক আহমেদ রবির সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন এবং তাকে স্বাগত জানান। এসময় কিছু অতি উৎসাহী কর্মীরা প্রতীক দিয়ে নানা ধরনের গুনজন ও বিদ্রুপ শুরু করে। প্রতিউত্তরে ছাইফুল করিম সাবু বলেন, প্রতীক যেটাই হোক আমরা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দল করি। আজ থেকে সকল দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে সকলের প্রচেষ্টায় দলকে শক্তিশালী করতে হবে।
এদিকে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ভাইচ চেয়ারম্যান এসএম শওকত হোসেন সৌজন্য সাক্ষাত করতে আসেন। এসময় বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক সম লূৎফর রহমান। এসময় মীর মোস্তাক আহমেদ রবি সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম শওকত হোসেনকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য আহবান জানান। তার বক্তব্য শুরুতে অতি উৎসাহী দলীয় কর্মীরা হট্রগোল শুরু করে এবং মারমুখী অবস্থায় বলতে থাকে যারা আওয়ামীলীগের সাথে বেঈমানী করেছে তাদের কোন বক্তব্য চলবেনা। এক পর্যায় মীর মোস্তাক আহমেদ রবি তাদের শান্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ করার সত্বেও তাকে উপেক্ষা করে চেয়ার ছুড়তে থাকে এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় সময় মীর মোস্তাক আহমেদ রবি তড়িঘড়ি করে এস এম শওকত হোসেনকে মাইক্রোবাসে করে পাঠিয়ে দেয়।
এদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি আবুল খায়ের সরদারসহ ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ সৌজন্য সাক্ষাত করতে আসেন। এসময় তিনি তার ইউনিয়নের বিভিন্ন সমস্যা ও দাবীদাবা উত্থাপন করেন। এসময় মীর মোস্তাক আহমেদ রবি তার বক্তব্যে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেনা। তিনি সারা বাংলাদেশের খবর রাখেন। খুব ভালোভাবে যেনে বুঝে আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে মনোনীত করেছেন। আমি কথায় নয়-কাজে বিশ্বাসী। জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। কে বা কারা ভোট দিয়েছেন এটা বিষয় না। আমাকে ভোট দিয়েছে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। আমি আপনাদের সেবক হিসাবে কাজ করতে চাই। ইতিপূর্বে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সাহেব বনে গেছেন। আমি সাহেব হতে চাইনা। আমি কারও দ্বারা প্রভাবিত হতে চাইনা। আমি মানুষের কাতারে থাকতে চাই। আপনাদের সকলের সহযোগীতা পেলে আমি সাতক্ষীরার প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতাসহ সাতক্ষীরাকে অসম্প্রদায়িক, শোষণমুক্ত, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাশ মুক্ত করতে পারবো।