সাকিবের দশম ‘পাঁচ’
প্রতিবেদক: টেলরকে বিদায় করার পর সাকিব। ছবি: প্রথম আলোনিউজিল্যান্ড সাকিব আল হাসানের খুব প্রিয় প্রতিপক্ষ। নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারে এ দলটির বিপক্ষেই নিজের সেরা বোলিং পরিসংখ্যানটি তৈরি করেছেন বিশ্ব সেরা এই অলরাউন্ডার। আজ এই দলের বিপক্ষেই সাকিব তুলে নিলেন নিজের দশম পঞ্চম উইকেটের কীর্তিটিও। মিরপুর টেস্টে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে একে একে পিটার ফুলটন, হামিশ রাদারফোর্ড, রস টেলর, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম আর ডগ ব্রেসওয়েলকে ফিরিয়ে দিয়ে বল হাতে আবারও আপন ছন্দে ফিরলেন সাকিব। অথচ কালই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, এসব ছন্দ-টন্দ নিয়ে ভেবে তিনি নাকি একেবারেই সময় নষ্ট করেন না।
এসব নিয়ে ভাবতে যাবেনই-বা কেন, প্রতিভা আর প্রত্যয় দিয়েই তো তিনি আজ এ জায়গায়। নিজের খেলাটা খেলতে পারলে এসব প্রাপ্তি যে চলে আসে হাতের মুঠোতেই। তা ছাড়া যিনি এসব প্রতিনিয়তই পাচ্ছেন, প্রতিনিয়তই দেশকে সম্মানিত করছেন, তিনি এগুলো নিয়ে মাথা কুটে মরতে যাবেন কেন!
খবরে প্রকাশ, কাল রাতেই তিনি একটা বাজে ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। বিমানবন্দরে নিজের স্ত্রীকে তুলে দিতে গিয়ে এক ধরনের অপদস্থই হয়েছেন তিনি। এ নিয়ে সারা দেশেই তোলপাড়। অথচ আজ সকালে মাঠে যখন নামলেন, রাতের গ্লানি যেন আর তাঁর মধ্যে নেই। অবলীলায় তিনি করে গেলেন নিজের কর্তব্য। নিজের অন্যতম সেরা বোলিং কীর্তি দিয়ে তিনি যেন সবাইকে আবারও মনে করিয়ে দিলেন, সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের কত গুরুত্বপূর্ণ এক সম্পদের নাম।
২০০৭ সালের ১৮ মে ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রামে তাঁর টেস্ট অভিষেক। এখনো পর্যন্ত খেলেছেন ৩২টি টেস্ট। ১১৩টি উইকেট নিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই সেরা উইকেট-শিকারী। পাঁচ উইকেট শিকারকে বোলারের ‘সেঞ্চুরি’ বলা হয়, সেদিক দিয়েও তিনি সেরা। ৩২ ম্যাচে দশবার পাঁচ উইকেট তুলে নেওয়ার ব্যাপারটিকে তো একটু আলাদাভাবেই দেখতে হবে।
অবতরনিকাতেই বলা হয়েছিল নিউজিল্যান্ড সাকিবের প্রিয় প্রতিপক্ষ। এই দলটির বিপক্ষে তাঁর শিকার ২০ উইকেট। সেই ২০০৮ থেকে শুরু, এরপর চলছে তাঁর আধিপত্য। কিউইদের বিপক্ষে পাঁচ বছর আগে এ রকমই এক অক্টোবরের বিকেল তিনি আলোকিত করেছিলেন সাত উইকেট শিকার করে। পাঁচ বছর পর আরও একবার কিউইদের বেদনার্ত করলেন সাকিব