সাকা চৌধুরী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার

বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। অপরাধের চেয়ে তার রাজনৈতিক পরিচয়কেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। নাগরিক হিসেবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের যথেষ্ট সুযোগ তিনি পাননি।
বৃহস্পতিবার বিকালে দলের পক্ষে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিপন একথা বলেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজের পর এটাই বিএনপির প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া। এর আগে এ নিয়ে বিএনপির কেউ মুখ খোলেননি।
রিপন বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী মৌলিক ও মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ন্যায়বিচার পাননি। কারণ তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে যেসব দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন, সেগুলো বিবেচনায় নিলে হয়ত ন্যায়বিচার পেতেন, ফাঁসি হতো না। কিন্তু তাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। তিনি পারসিকিউশনের (প্রতিহিংসা) শিকার হয়েছেন।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের জন্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ‘কন্ট্রিবিউশন’ ছিল। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার এলাকার মানুষ তাকে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্টে পাঠিয়েছিলেন। তিনি একজন পরিচ্ছন্ন ও সৎ রাজনীতিক ছিলেন। তার কমিটমেন্ট ছিল। গণতন্ত্রের প্রশ্নে তিনি আপসহীন ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, আপিল বিভাগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের পর বিএনপির যে অবস্থান ছিল, এখনও বিএনপি একই অবস্থান বহাল রয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম তিনি ন্যায়বিচার পাবেন, কিন্তু আইনজীবীরা বলেছেন, তিনি ন্যায়বিচার পাননি।
রিপন দাবি করেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী অপরাধী নন। তিনি অপরাধ করেননি। যে সময়ে অপরাধ সংগঠনের কথা বলা হয়েছে, সে সময় তিনি দেশে ছিলেন না। তারপক্ষ থেকে এর দালিলিক প্রমাণ এবং দেশি-বিদেশি একাধিক বিশিষ্ট জনকে সাক্ষী মানা হয়েছিল। তিনি বলেছেন, তিনি ওই সময় তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে ছিলেন।
রিপন বলেন, আমরা খুশি হতাম, দেশবাসী খুশি হতো যদি এসব বিবেচনায় নেয়া হতো। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।