সাইরাসকে নিয়ে উইন্সলেটের দুশ্চিন্তা
-
নিউজ 7বিডিঃ হলিউডের তরুণ তারকাদের ‘উগ্র’ জীবনধারা নিয়ে বেশ চিন্তিত কেইট উইন্সলেট। বিশেষ করে পপতারকা মাইলি সাইরাসকে নিয়ে তিনি একটু বেশি চিন্তিত বলে মন্তব্য করেছেন ওই ব্রিটিশ অভিনেত্রী।
সাইকোলজিস ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে উইন্সলেট বলেন, হলিউডে যাত্রার শুরুতে তিনি নিজেও তরুণী ছিলেন। আর এখন তিনি বর্তমান যুগের তরুণ শিল্পীদের দেখছেন। তাদের উগ্র জীবনযাত্রা নিয়ে তিনি চিন্তিত। এদের মধ্যে সাইরাসকে নিয়ে তার দুশ্চিন্তা সবচেয়ে বেশি।
এর আগে হাফিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উইন্সলেট বলেছিলেন, “যখনই তাদের ভয়ঙ্কর সব কাণ্ডের কথা শুনি, একটা কথাই মনে হয়। তা হল, এদের কি দেখে রাখার কেউ নেই?। এদের দেখলেই মনে হয়– এরা যেন পথ হারিয়ে ফেলেছে।”
তিনি আরও বলেন, “মাইলি সাইরাসের কথাই ধরুন; সেদিনই আমি আমার মেয়েকে বলছিলাম, ও যা করে বেড়াচ্ছে তাতে খুব বেশিদিন আমি মুখ বন্ধ রাখতে পারব না। ওকে দেখলেই বলতে ইচ্ছা করে, একটু দাঁড়াও। এসব কী করছ তুমি? তুমি কি জানো, তুমি কে? আর কীই-বা চাও তুমি এসব থেকে? ”
উইন্সলেট নিজেও তরুণ বয়সে হলিউডে পা রেখেছিলেন। তবে তিনি জানান, সাইরাস যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এমন পরিস্থিতিতে কখনও পড়তে হয়নি তাকে।
কন্টাক্টমিউজিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ সালে মাদক সেবন, অশ্লীল নাচ এবং বিবসনা মিউজিক ভিডিওর কারণে বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন ‘হ্যানা মন্টেনা’-খ্যাত তরুণ পপতারকা মাইলি সাইরাস।
থিয়েটারকেন্দ্রিক একটি পরিবারে বড় হয়েছেন উইন্সলেট। ১৯৯২ সালে হলিউডে পা রাখেন তিনি। ‘সেন্স অ্যান্ড সেন্সেবিলিটি’ সিনেমার জন্য ১৯৯৫ সালে প্রথম অস্কার মনোনয়ন পান তিনি। ২০০৮ সালে ‘দ্য রিডার’ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে তিনি জিতে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অস্কার।
উইন্সলেট মনে করেন সোশাল মিডিয়ার প্রভাবও তারকাদের বিপথে যাওয়ার একটি বড় কারণ। তিনি নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করেন। কারণ, গ্ল্যামারের হাতছানিতেও কখনও পথ হারাননি তিনি।
উইন্সলেট বলেন, “তরুণ অভিনেতা, অভিনেত্রী এবং পপতারকাদের জন্য এই গ্ল্যামারওয়ার্ল্ড অনেক সময়ই দুঃস্বপ্নে রূপ নেয়। আমি কখনও সেই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়িনি। তাই মনে করি আমি খুবই ভাগ্যবান।”