সাংবাদিক পরিচয়ে শফিক রেহমানের বাসায় প্রবেশ করে পুলিশ
সাংবাদিক পরিচয়ে শফিক রেহমানের বাসায় প্রবেশ করে পুলিশ
ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গ্রেপ্তারের আগে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পুলিশ বাসায় প্রবেশ করে বলে জানান শফিক রেহমানের স্ত্রী ও ডেমোক্রেসি ওয়াচের পরিচালক তালেয়া রেহমান। তিনি অস্ত্রসজল চোখে বলেন, এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য তারা প্রস্তুত ছিলেন না। তার (শফিক রেহমান) বয়স হয়েছে। এ অবস্থায় এমন পরিস্থিতির জন্য চিন্তা হচ্ছে। সাংবাদিক পরিচয়ে এমন ভাবে গ্রেপ্তার সাংবাদিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে; বলেন তালেয়া রেহমান। তিনি বলেন, সকাল ৭ টার কিছু পরে তিনজন লোক বাসার অভ্যার্থনা কক্ষে এসে বৈশাখী টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে শফিক রেহমানের সঙ্গে দেখা করতে চায়। অভ্যার্থনা কক্ষ থেকে শফিক রেহমানের কাছে বার্তা পাঠানো হলে তিনি তাদের নাস্তা দিতে বলেন। ওই তিনজন নাস্তা খেয়ে বাসার বাবুর্চির কাছে একটি কার্ড দিয়ে তা শফিক রেহমানকে দিতে বলেন। বাবুর্চি কার্ড নিয়ে উপরের তলায় ওঠার মূহুর্তেই শহিফক রেহমান নিচে চলে আসেন। এসময় ওই তিন ব্যাক্তি নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে আটক করে। বার্বুচিকে মারধর করে সেই কার্ডটিও নিয়ে যায় পুলিশ। সাংবাদিক শফিক রেহমান সম্পাদিত মৌচাকের ঢিল ম্যাগাজিনের সহযোগী সম্পাদক সজীব অনাচিত জানান, শফিক রেহমানকে নিয়ে যাওয়ার সময় বাসার বাইয়ে একটি সাদা মাইক্রোবাস, দুটি মোটরসাইকেল ও আরও নয়জন ব্যাক্তিকে তিনি দেখতে পেয়েছেন। সজিব আরও জানান, এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় ভূমিকম্পের কিছু আগে সাংবাদিক পরিচয়ে তিনজন ব্যাক্তি বাসায় এসেছিলেন; যারা ভূমিকম্প হওয়ার পরে কিছু না বলেই চলে যান। ইন্টারভিউ না নিয়েই চলে যাচ্ছেন, এমন প্রশ্নে তখন তারা বলেছিলেন, আজ নয় আরেক দিন। এদিকে বেলা ১১ টার দিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান শফিক রেহমানের বাসায় যান। তারা শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমানকে সান্তনা ও সাহস দেন।