সাংবাদিক অধরাকে হয়রানি বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে ১৯ সংগঠনের চিঠি
সাংবাদিক অধরা ইয়াসমিনকে হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন বন্ধে অবিলম্বে জরুরি ভিত্তিতে হস্তক্ষেপ দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক দেশি বিদেশি ১৯টি সংগঠন। রাজারবাগ দরবার শরীফ নিয়ে আরটিভিতে ২৯শে এপ্রিল ভিডিও রিপোর্ট করার জন্য তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে তদন্ত করা হচ্ছে। ওই চিঠিতে এসব সংগঠন বলেছে, ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে তদন্ত অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত কর্তৃপক্ষের। ৩০শে আগস্ট এই চিঠি ইস্যু করা করা হয়েছে। তা প্রকাশ হয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টে (সিপিজে)। এতে প্রধানমন্ত্রীকে ‘ম্যাডাম প্রাইম মিনিস্টার হাসিনা’ সম্বোধন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মধ্য জুলাই থেকে বেআইনিভাবে ইয়াসমিনের ওপর নজরদারি করছে রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্যরা। এ রিপোর্ট পেয়ে আমরা হতাশা প্রকাশ করছি। তারা তাকে অব্যাহতভাবে অনুসরণ করছে। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ফাইল করার হুমকি দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমরা সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী সাংবাদিক ও তার সহযোগী আকরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তদন্ত বাতিল করার আহ্বান জানাচ্ছি। এই মামলায় কাঞ্চনকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে রাজারবাগ দরবার শরীফের অন্যতম নেতা শাকেরুল কবির আর্থিক মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে স্থানীয়দের সম্পত্তি দখল করেছেন বলে বলা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সাংবাদিকের রিপোর্টে একজন সূত্রের বিরুদ্ধে আইনগত প্রতিশোধ নেয়া হলো ভীতি প্রদর্শন, যা মুক্ত সাংবাদিকতার কার্যকারিতাকে বাধাগ্রস্ত করে। সাংবাদিকতা কোনো অপরাধ নয়। ভীতিহীন পরিবেশে, প্রতিপক্ষ বা কর্তৃপক্ষের প্রতিশোধ নেয়ার ভয়মুক্ত পরিবেশে বাংলাদেশে স্থানীয় এবং জাতীয় বিষয়গুলোতে মিডিয়াকে অবাধ ও ক্ষমতা দিতে হবে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের নির্বাচন হওয়ার কথা। তাকে সামনে রেখে এসব বিষয় প্রাসঙ্গিক।