সরকার সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়: ফখরুল
এই সরকারের আমলে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই। রফখরুল আরও বলেন, ক্ষমতাসীনরা আইনের শাসন, সুবিচার, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা ছাড়াও মানুষের জীবনপ্রদীপ নিভিয়ে দিতেও কুণ্ঠিত হচ্ছে না। এরা দেশের মানুষের নিরাপত্তায় বিশ্বাস করে না বলেই মানুষের শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে চলাচলের স্বাধীনতা হরণ করেছে।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিএনপি মহাসচিব শোক বইতে স্বাক্ষর করেন। পরে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, মরহুম জাফরুল্লাহ চৌধুরী সবসময়ই বাংলাদেশ এবং এ দেশের স্বাস্থ্য খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। একজন অসাধারণ দেশপ্রেমিক, সাহসী, সৎ এবং নির্ভীক মানুষ ছিলেন তিনি। কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদে পিছপা হননি। সত্যিকার অর্থে রাষ্ট্রকে একটি মানবকল্যাণ রাষ্ট্রে ও মানবকল্যাণ সমাজ নির্মাণে তিনি সারাটি জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছেন। আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলাম। তার চলে যাওয়া আমাদের যে অপূর্ণ ক্ষতি, তা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। আমরা তাকে স্যালুট জানাচ্ছি, অভিবাদন জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। এ সময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ডা. আবদুল কদ্দুস, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।