সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে, গণসমাবেশে বাধা দিচ্ছে : মোশাররফ
সরকার বিএনপিকে ভয় পায় বলে ইতিহাস বিকৃত করছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে এমন মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, নিরপক্ষে সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া বিএনপি কোনো আপসে যাবে না। এখন আমাদের মূল দাবি-সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বাতিল করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে । খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে মুক্তভাবে রাজনীতি করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক উম্মুক্ত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গায়ের জোরের সরকার বার বার দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করে ক্ষমতায় আছে। এজন্যই সরকার জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপিকে ভয় পায়। আজকে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করেছে বারবার। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। চাপাবাজি দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে।
মোশাররফ বলেন, বিএনপির আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রসমাজকে ব্যাপকভাবে ভুমিকা রাখতে হবে। বর্তমান স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে সরাতে হলে ছাত্রদলকে সামনের কাতারে থেকে অগ্রণী ভুমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের সমাবেশগুলোতে প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সরকার ভয় পেয়ে বিএনপির গণসমাবেশে বাধা দিচ্ছে। জনগণ কোনো বাধা বিপত্তিতে ভয় পায় না। তারা স্বতস্ফূর্তভাবে সমাবেশে অংশ নিচ্ছে। ১০ই ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশও সফল হবে।
পূর্বঘোষিত এ সমাবেশ বেলা দুইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার আগেই সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে আসা শুরু করেন। রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিটের পাশাপাশি ঢাকার আশপাশের জেলা থেকেও সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হন। ছাত্রদলের সমাবেশকে ঘিরে নয়াপল্টনের একটি সড়ক বন্ধ হওয়ায় রাজধানীর শান্তিনগর, কাকরাইল মোড়, পুরানা পল্টনের বিজয়নগর, দৈনিক বাংলা ও ফকিরাপুল এলাকায় যানজটও দেখা যায়।
ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলে পরিচালনায় উন্মুক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মো: আব্দুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, মীর সরফত আলী সপু, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আজিজুল বারী হেলাল, শহীদুল ইসলাম বাবুল, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, রাজীব আহসান, ফজলুর রহমান খোকন, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ।