সরকারের পতন ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে: ফখরুল
সরকারের পতন ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন আর অনেক দফা নাই। এখন এক দফা, এক দাবি এই মুহূর্তে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে এই সংসদ বাতিল করে নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত জ্বালানি, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি ও বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্যকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের পতন ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখন বিদ্যুৎ, এর পরে জ্বালানি তেল, এর পর দেখবেন রিজার্ভ শেষ হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে আকাশচুম্বী হয়ে।
সমাবেশে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে হাতে হ্যারিকেন নিয়ে আসেন বিএনপি নারী নেত্রী ও কর্মীরা। তাদের উদ্দেশে বিএনপি এই নেতা বলেন, এই হারিকেনটা গণভবনে শেখ হাসিনার কাছে পাঠিয়ে দেন। তার হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেন। শুধু এই মিটিংয়ে হারিকেন নিয়ে আসলে হবে না। যখনি অন্ধকার আসবে, যখনি লোডশেডিং হবে তখনই হারিকেন আর মোমবাতি নিয়ে বের হবেন।
এই সরকার বিদ্যুতের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। লুট করে বিদেশে পাঠিয়েছে। ২০২১ থেকে ২০২২ সালে শুধু বিদ্যুৎখাতে লোকসান হয়েছে আড়াই শ হাজার কোটি টাকা। অন্যান্য বছর মিলিয়ে লক্ষ কোটি টাকা এই লোকসান ছাড়িয়ে গেছেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার, শেখ হাসিনার সরকার এদের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে লুটপাট করা, মিথ্যা বলা। গতকালই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দেশে বিদ্যুৎ, জ্বালানির ঘাটতি নেই।’ ঘাটতি না থাকলে সাত-আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না কেন? কেন তেল ও গ্যাস রেশনিং করা হচ্ছে বলে প্রশ্ন তোলেন এই বিএনপি নেতা।
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আইএমএফ থেকে টাকা ধার নেব না। আমরা এখনো খুব শক্তিশালী আছি অর্থনীতির মধ্যে। কিন্তু কালকে আমরা পত্রিকায় দেখলাম সাড়ে ৪০০ বিলিয়ন ডলার তারা ধার চেয়েছেন আইএমএফ’এর কাছে থেকে। দেখবেন এই সরকার মুখে এইসমস্ত কথা বলে, অনর্গল মিথ্যা কথা বলে। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে বোকা বানিয়ে রাখে কিন্তু ভেতরে ভেতরে তারা শূন্য হয়ে গেছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্র ও মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার নেতাসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।