সরকারপ্রধানকে খুশি করতেই এ রায় : মাহমুদুর রহমান
সরকারপ্রধানকে খুশি করতেই এ রায় : মাহমুদুর রহমান
দুদকের মামলায় রায় ঘোষণার পর মাহমুদুর রহমান সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কারণ আমি সরকারপ্রধানের পুত্র ও মাননীয় জ্বালানি উপদেষ্টাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছিলাম। জজ সাহেব সরকারপ্রধানকে খুশি করতে আইনবহির্ভূত এ রায় ঘোষণা করেছেন।’
তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিতে এসে পালিয়ে গেছেন। তিনি সাক্ষ্য দিলে সরকারের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসত।
আদালত থেকে বেরিয়ে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় মাহমুদুর রহমান চিৎকার করে বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী এ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। এ লড়াই থামবে না।’
তার আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিচারক সংবিধান এবং দুদক আইন লঙ্ঘন করে এ রায় ঘোষণা করেছেন। আমরা উচ্চ আদালতে যাব। সেখানে এ রায় টিকবে না।’
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।’
রায় ঘোষণার আগে মাহমুদুর রহমানকে সকালে আদালতে হাজির করা হয়। সাজার পরোয়ানা দিয়ে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ-৩ (অস্থায়ী এজলাস) এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদ্দার বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রাক্তন জ্বালানি উপদেষ্টা ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৩ মার্চ সম্পদের বিবরণ দাখিলের জন্য মাহমুদুর রহমানকে নোটিশ দেয় দুদক। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় একই বছরের ১৩ জুন গুলশান থানায় দুদকের উপপরিচালক নূর আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ২০১০ সালের ১৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল মাহমুদুর রহমানকে আমার দেশ কার্যালয় থেকে গ্রেফতারের পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই তাকে দুদকের এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।